বার্তা ডেস্ক :: পোশাক কারখানার সহকর্মীকে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া (২৮)। বাড়িতে নতুন ঘর উঠিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে যাবেন- এই শর্তে চলে যায় প্রায় দুই বছর। এর মধ্যে স্ত্রীকে রেখে বেশ কয়েক বার বাড়িতে এলেও স্ত্রীকে নেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এ অবস্থায় সম্প্রতি স্বামী বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় গত শনিবার স্ত্রী চলে আসেন স্বামীর বাড়িতে। এসে দেখেন স্বামীর ঘরেই নবজাতককে নিয়ে অবস্থান করছেন সতীন। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হলে বাড়ি ছেড়ে পালান স্বামী। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দাতারাটিয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রাসেল মিয়া গাজীপুরের একটি পোশাক কারাখানায় চাকরি করার সুবাদে সেখানেই তার সহকর্মীকে প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে করে বাসাভাড়া নিয়ে সংসার করে আসছিলেন। এর মধ্যে প্রথম বিয়ে করার কয়েকমাস পরেই পরিবারের পছন্দেও আরেক বিয়ে করেন গ্রামে। প্রথম বিয়ের কথা কোনোভাবেই জানানো হয়নি মা-বাবাকে। আর দ্বিতীয় বিয়ের কথাও জানতেন না প্রথম স্ত্রী।
শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করা প্রথম স্ত্রী জানান, রাসেলের সাথে সম্পর্কের কারণে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। এর পর থেকে গাজীপুরেই ভাড়া বাসায় সংসার করা অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে যেতে চাইলে নতুন ঘর নির্মাণের অজুহাতে কালক্ষেপণ করে স্বামী রাসেল। এ অবস্থায় তার সন্দেহ হলে তিনি গত শনিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ি চলে আসলে পরিবারের লোকজনের বাধার মুখে পড়েন। তার পরও স্বামীর ঘরে প্রবেশ করলে অন্য এক নারী স্বামীর স্ত্রী পরিচয়ে মারতে উদ্যত হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। পরে জানতে পারেন, ওই নারীকেও রাসেল বিয়ে করেছে। সে গত সপ্তাহে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়।
বাড়িতে অবস্থান করা দ্বিতীয় স্ত্রী জানান, তিনিই রাসেলের বৈধ স্ত্রী। আর কেউ আছে বলে তার জানা নেই। এ ঘটনার পর দুজনের মধ্যে উত্তেজনা ও বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হলে স্বামী রাসেল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজ রবিবার পর্যন্ত রাসেল বাড়ি না আসায় ঘটনার সুরাহা হয়নি। ইউপি সদস্য রূপন জানান, ওই বাড়িতে আসা মেয়েটি যে রাসেলের স্ত্রী তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসেলের পরিবারকে বলা হয়েছে তাকে খুঁজে বের করে বাড়িতে আনার জন্য। পরে এক সালিসের আয়োজন করে বিষয়টির ফয়সালা করা হবে।-কালের কণ্ঠ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn