যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে আত্মঘাতী হামলাকারী  সালমান আবেদির বাবা রমজান আবেদি ও ছোট ভাই হাশেম আবেদি (২০)-কে গতকাল বুধবার লিবিয়ায় রাজধানী ত্রিপলিতে মিলিশিয়া বাহিনী আটক করেছে। আর তার বড় ভাই ইসমাইলকে (২৩) হামলার পরদিন মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গত সোমবার রাতে মার্কিন সংগীতশিল্পী অ্যারিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে সালমানের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত এবং ৫৯ জন আহত হয়। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রমজান আবেদি জানান, তার ছেলের সঙ্গে পাঁচদিন আগে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তখন সবকিছু স্বাভাবিক ছিল।

সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ত্রিপলিতে কাউন্টার টেরোরিজম ফোর্সের কাছে আটক ছিল রমজান আবেদি। সালমান তার বাবাকে বলেছিল সে মক্কায় হজ করতে যাচ্ছেন। রমজান আবেদি বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে পাঁচদিন আগে ফোনে কথা বলেছি। খারাপ কিছু আঁচ পায়নি, সবকিছু স্বাভাবিক মনে হয়েছে।’ফোনে কথা বলার সময় তার ছেলে কোথায় ছিলেন এ বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।   মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামিক স্টেট(আইএস)’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে হাশেম আবেদিকে ত্রিপলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশেষ প্রতিরোধকারী বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ বিন সালেম বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে সালমান এবং তার ভাইয়ের আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। গত দেড় মাস ধরে তাদের অনুসরণ করা হচ্ছে। সালমান তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং হাশেম এই হামলা সম্পর্কে জানত। ১৬ এপ্রিল লন্ডন থেকে ত্রিপলিতে এসেছিল হাশেম। রমজান আবেদি নিশ্চিত করে বলেছেন, কোনো জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে তার ছেলের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

‘সালমান কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তার এই ধরনের আদর্শ ও বিশ্বাস ছিল না। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।’ এই হামলার পেছনে গোপন কোনো ষড়যন্ত্র আছে বলে তিনি মনে করেন।     ‘সাধারণ ও নিরাপরাধ মানুষের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’ রমজান আবেদি বলেন, ‘সালমানের দুটি পাসপোর্ট আমি পরীক্ষা করে দেখেছি। কোনো সন্দেজজনক কিছু পায়নি। সে কখনো সিরিয়াতে যায়নি।’ যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হামলাকারীর পেছনের ‘নেটওয়ার্কের’ সন্ধান পেতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বৃহস্পতিবার আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn