সিলেট :: স্বামীকে বেঁধে ছাত্রাবাসে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও বেড়ানোর কথা বলে বাসায় এনে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর এবার পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। আগের দুই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। আর এবার ধর্ষনের অভিযোগ ওঠেছে শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু তথ্য প্রযুক্তিলীগ সিলেট জেলা শাখার নেতা ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাঁচ সন্তানের জননী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো সিলেট নগরীর শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের ২নং বাসার দুইতলার ভাড়াটে মো. দেলেয়ার হোসেন ও তার সহযোগী হারুন আহমদ। ধর্ষিতা নারীও ওই এলাকার। দেলোয়ার তথ্য প্রযুক্তিলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত পরশু শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৪নং রোডের পাঁচ সন্তানের এক জননী ধর্ষিত হন। পরে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন। গত রবিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ আসলে সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার ও তার সহযোগী হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্যোর্তিময় সরকার জানান, মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন দেলোয়ার তাকে ধর্ষন করে এবং আরও তিনজন ধর্ষনে সহযোগিতা করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn