বার্তা ডেস্ক :: সিলেটের শামীমা বেগমকে ধর্ষণ করেছিল তার জিহাদি স্বামী ইয়াকো রেইদিজক। শামীমার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার একটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে এ সপ্তাহে। সেই শুনানিতে শামীমার উপস্থিত থাকা প্রয়োজন বলে দাবি জানিয়েছেন তার আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে। ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের স্কুলপড়ুয়া তিন বান্ধবী একসঙ্গে নিখোঁজ হয়। তিন দিন পর জানা যায় তারা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিরিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন। সেই তিন মেয়ের একজন শামীমা বেগম এখন যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্য ফেরার আর্জি জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এই তরুণী। শামীমা ডেইলি মিরর’কে বলেছেন, সিরিয়ায় পৌঁছার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে আইসিসের এক উৎসবে শামীমাকে বিয়ে দেয়া হয় জিহাদি রেইদিজকের সঙ্গে। ফলে তার এই প্রেক্ষাপটকে ধর্ষণ হিসেবে দেখার আবেদন করেন শামীমা। শামীমার আইনজীবীদের টিম যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, এই শুনানি শামীমাকে ছাড়া হতে পারে না। তবে শামীমাকে বৃটেনে ফিরতে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে কিছুদিন আগেও জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল।
এদিকে, গত মাসে থেরাপি নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যে ফেরার আকুতি জানিয়ে জানান শামীমা বলেন, আইএসে যুক্ত হওয়ার পর তিনি এ পর্যন্ত তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তাদের সবাই রোগে অথবা অপুষ্টিতে মারা গেছে। এখন তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’কে ঘৃণা করেন। তবে শামীমার ফেরার ব্যাপারে প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, এখন কোন পথ খোলা নেই।  বর্তমানে সিরিয়ায় একটি অন্তর্বর্তী শিবিরে অবস্থান করছেন শামীমা। তিনি বলেছেন, আমি সব সন্তানকে হারিয়েছি। এখন আমার থেরাপি প্রয়োজন। শামীমার যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাওয়ার এ দাবিকে সমর্থন করে দেশটির বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সম্প্রতি বলেছেন, শামীমা বেগমের ব্রিটেনে ফেরার অধিকার রয়েছে। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়টিকে চরম পন্থা বলেও অভিহিত করেন তিনি। করবিনের মতো একই মত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ডায়ান অ্যাবোট।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn