সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ কাটছেই না
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে ওই তারিখে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থগিত করা হয় ঐদিনের সম্মেলন। পরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা শাখাকে আরো গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষে গত ১৮ মার্চ সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলন আয়োজনের জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ এপ্রিল। আগের দুটি নির্ধারিত তারিখে নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন প্রাণচাঞ্চল্য ভাব দেখা না গেলেও ২২ এপ্রিলের সম্মেলন সফল করার লক্ষে বর্তমান কমিটি এবং পদ-প্রত্যাশী ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে সম্মেলনকে স্বাগত জানাতে আজ ১৯ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১টায় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্ট থেকে এক বিশাল স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও সিলেট ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ইউনিটের পক্ষ থেকে কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সম্মেলন সফলের লক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এতে অনেকেই আশাবাদী যে এবারে হয়তো সিলেট ছাত্রলীগের সম্মেলনটা হয়েই যাবে।
জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন বারবার স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ সিলেটভিউ২৪ডটকমকে জানান, ‘বিভিন্ন ইস্যু থাকার কারণে আগে দুইবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিত করেন। এবারও বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন এবং এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে যদি কেন্দ্রীয় কমিটি মনে করে সম্মেলন পেছানো দরকার তবেই শুধুমাত্র পেছাতে পারে নতুবা নির্ধারিত সময়েই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবিভাবক উল্লেখ করে সামাদ আরো বলেন- ‘কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। শীঘ্রই কার্যকরী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে সম্মেলন সফলের লক্ষে এবং সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। বারবার সম্মেলন আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করেও তা আবার বন্ধ করে দেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছিল, তা অনেকটা দূর হয়েছিল নতুন তারিখ ঘোষণায়। আর পদপ্রত্যাশী নেতারা বসেছিলেন নড়েচড়ে। তাদের কাছে এখন দিন-রাত একাকার। এরই মধ্যে সম্মেলন ঘিরে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছেন। তাদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ। তৃতীয়বারের মতো সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। জেলা ছাত্রলীগের ভাইটাল (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) পদে আসীন হতে আশাবাদী অনেকেই।