২ গরু চোরক আটক-

চুরি করা গরু বাজারে বিক্রয় করার লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্বালে পথিমধ্যে চোরাইকৃত গরুসহ ২ গরু চোরকে আটক করেছে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। আটককৃত চোরেরা হচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম তেঘরিয়া নিবাসী আব্দুল বারিকের পুত্র মতিবুর রহমান (২৮) ও সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের পুত্র বাবুল (২২)। পুলিশ জানায়,গত ৩১ অক্টোবর সুনামগঞ্জ বিসিক মাঠ থেকে ঘাস খাওয়ার প্রাক্কালে শহরের ওয়েজখালী নিবাসী মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র আব্দুল আলীর বাছুরসহ ১টি কালো রঙ্গের গাভী চুরি হয়। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার আমবাড়ী বাজারে নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে চোরদল রওয়ানা হলে   স্থানীয় কুরবানগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাও গ্রামের লোকজন চোরাইকৃত গরুর মালিককে খবর দেয়ার পাশাপাশি তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে সদর মডেল থানার এসআই মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে চোরদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনা স্বীকার করে এসআই মোশাররফ হোসেন বলেন,ঘটনাস্থলে মালিককে দেখামাত্র তার গরু ও বাছুর মালিকের কাছে ছুটে আসে। সাথে সাথে পুলিশ চোরদের কাছ থেকে চোরাইকৃত গরু দুটি জব্দ করে। এর মধ্যে ১টি কালো রঙ্গের গাভী অপরটি লাল গাভী। এ ব্যাপারে চোরদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা নং ৪ তাং ৭/১১/২০১৭ইং দায়ের করা হয়েছে।

 সিএনজি চালকের  লাশ উদ্ধার-

সিলেটের এক সিএনজি চালকের  ভাসমান গলিত লাশ উদ্ধার করেছে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের প্রাক্কালে নিহতের স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করেছেন। নিহত হোসাইন আহমদ (২৪) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার কাজিরখলা বরইকান্দি নিবাসী আজিজুর রহমানের পুত্র। নিহতের আপন ভাই রাসেল আহমদ ও তার চাচা হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,গত ১লা নভেম্বর বাবু নামের এক লোক মোবাইল কল করে হোসাইন আহমদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অনেক অনুসন্ধান করেও তার খোজ পাওয়া যায়নি। বুধবার বেলা পৌনে ২টায় শহরতলীর ধারারগাঁও গ্রামের পাথর ক্রাসারের ১০০ গজ দূরে সুরমা নদীতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ ভেসে উঠেছে এ সংবাদে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করেছে জানতে পেরে তারা সুনামগঞ্জে ছুটে আসেন। নিহতের পরনের কাপড়চোপর দেখে তারা লাশটি সনাক্ত করেন। সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই মোশাররফ হোসেন লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন,আমরা প্রথমে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ ভাসমান অবস্থায় সুরমা নদী হতে উদ্ধার করি। পরদিন নিহতের স্বজনরা জেলা সদর হাসপাতালে এসে তার লাশটি সনাক্ত করেছেন। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

পতাকা অবমাননাঃ অভিযোগ দায়ের-

ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের জায়গা দখলের অপচেষ্টা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় ১টি জিডি ও ১টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের মৃত রমু মোড়লের পুত্র ফিরোজ মিয়া,হালুয়ারগাঁও গ্রামের মৃত আক্রম আলীর পুত্র আলী হায়দর ও মৃত আলী আসকরের পুত্র হোসেন মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি দায়ের করা হয়। একই ঘটনায় প্রথমে বালিকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা নবী হোসেন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি নং ৫১২ তাং ৬/১১/২০১৭ইং দায়ের করেন। পরে ৮ নভেম্বর জিডির সমর্থনে মামলা দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়া। দায়েরকৃত জিডি ও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,গত ৬ নভেম্বর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফিরোজ মিয়া ও তার সহযোগীরা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট অফিসে থাকা উত্তোলনকৃত ৩টি মুক্তিযোদ্ধা পতাকা ও ১টি জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিড়ে ফেলে পতাকার অবমাননা করে তারা। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হালুয়ারঘাট বাজারে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট প্রাঙ্গনে তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় পতাকা অবমাননাকারীদের আটক করার দাবী জানানো হয়। ইউনিয়ন কমান্ডার ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম ওয়াজকুরুনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার ডিলার, উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার শাহ-আলম,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ মিয়া,নূর মিয়া,মমিন মহরী,মোহাম্মদ আলী ও নবী হোসেনসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এতে বক্তব্য রাখেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মজিদ বলেন,সুরমা জাহাঙ্গীরনগর ও রঙ্গারচর এ ৩ ইউনিয়নের আমরা ১৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধারা সুরমা নদীর পাড়স্থ মনমনতেছর মৌজার খাস খতিয়ানের জায়গায় গত ৩ বছর আগে আমরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় ও মার্কেটসহ মুক্তিযোদ্ধা পল্লী স্থাপন করি। এতে পাশর্^বর্তী হালুয়ারগাঁও-রহমতপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়া,আতাউর,চেরাগ আলী,আলী হায়দর ও আলী আমজদগং ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের জায়গা দখলে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালায়। এর অংশ হিসেবে সোমবার সকালে আমাদের জায়গার সীমানা খুটি তুলে নিয়ে যায়। এবং জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা ছিড়ে ফেলে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn