সুনামগঞ্জ  :: এ বছর এইচএসসিতে সুনামগঞ্জের পাশের হার ৫৬.৩৯ শতাংশ এবং জিপিএ পেয়েছেন ২৮জন শিক্ষার্থী। জেলায় ভালো ফলাফণল করেছে দিরাই বিবিয়ানা কলেজ। বিবিয়ানা কলেজে ২৬৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬টি জিপিএ-৫ সহ ২৬৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৯.২৫ ভাগ। এছাড়াও দিরাই কলেজের পাশের ৭৩.১৫ শতাংশ। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজের পাশের হার ৭৫.৫৭ শতাংশ ও পাশের হার ৬৫ শতাংশ অর্জন করেছে। জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ। এই কলেজ থেকে ১ হাজার ২৫২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৯৯৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। পাশের হার ৮০.০২ শতাংশ। এদিকে জেলা শহরের আরেক বিদ্যাপীঠ সরকারি মহিলা কলেজ পাশের হার জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের চেয়ে পিচিয়ে আছে। সরকারি মহিলা কলেজে থেকে ৭৩১ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫০৩জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৩জন। পাশের হার ৬৮.৮১ শতাংশ অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। পৌর শহরের অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের ফলাফল খারাপ ফলা ফল করেছে। পরীক্ষায় ৫১০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে মাত্র ১৭১ জন। প্রতিষ্ঠানটির পাশের হার ৩৩.৫৩ শতাংশ, যা অন্য বছরের চেয়ে কম।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মধ্যে ফলাফলের দিকে এগিয়ে আছে পাগলা সরকারি হাইস্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির পাশের হার ৭৭.৩৮ শতাংশ। এছাড়াও ডুংরিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের পাশের হার ৭৪.৫৫ শতাংশ, আব্দুল মজিদ কলেজে পাশের হার ৪৮ শতাংশ অর্জন করে। উপজেলার মধ্যে সর্ব নিম্ন ফলাফল সুরমা হাইস্কুল এন্ড কলেজ। যার ফলাফল ৪৩.০১ শতাংশ।
জগন্নাথপুর উপজেলার ৮টি কলেজ থেকে ১৩৩৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮৯১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৬৬.৬৪ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩টি। এছাড়া উপজেলার ৭টি মাদ্রাসা থেকে ২৮৬ জন শিক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৬৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৯২.৬৬। এ ফলাফলে এবারো কলেজ থেকে মাদ্রাসা এগিয়ে থাকলেও কোন জিপিএ-৫ পায়নি।
তাহিরপুরে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৮০ জন এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৬৩৮ জন। উপজেলায় পাশের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বাদাঘাট সরকারি কলেজ। এই কলেজে ৫২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬১ জন। পাশের হার ৮৮.১৫ পাশের হার শতাংশ। সব চেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে জয়নাল আবেদীন ডিগ্রী কলেজ। ১২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৩ জন ছাত্র-ছাত্রী। এ কলেজটির পাশের হার ৩৩.৫৯।
এছাড়াও তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ১৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৩.৪৫। ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৫.৫৪। অপরদিকে আলিম পরীক্ষায় তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় ৩৭ জন পরীক্ষাথীর মধ্যে ৩১জন পাশ করেছে, পাশের হার ৮৩.৭৮। বালিজুরি এইচ এ উলুম আলিম মাদ্রাসায় ৫৫ জনের মধ্যে ৪২ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৭৬.৩৬। দোয়ারাবাজারে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ প্রতিষ্ঠানে মাত্র ১জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। উপজেলার পাশের হার ৬৫ ভাগ। মাদরাসায় ৯৮ভাগ পরীক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছে। এবারের এসএইচসি পরীক্ষায় ৬টি প্রতিষ্ঠানের ৮শ ৪৮জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ৫শ ৫০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তন্মধ্যে উপজেলার বড়খাল বহুমুখি স্কুল এন্ড কলেজ একমাত্র জিপিএ ৫ পেয়েছে। উপজেলার ৩টি মাদরাসা হতে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ১শ ৯জন অংশগ্রহণ করে ১শ ৭জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৮ভাগ। জগন্নাথপুর শাহজালাল কলেজে ২টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার ৭৫.৫৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর দিগ্রেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজে পাশের হার ৭৫.৩২শতাংশ ও জাউয়া ডিগ্রি কলেজ ৪৭.৪৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn