সুনামগঞ্জে এক সপ্তাহে পানিতে ডুবে ৬ শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জ::সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরের পানিতে ডুবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছয় ভাই-বোনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হাওরাঞ্চলে প্রতি বছর পানিতে ডুবে এরকম মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শঙ্কিত ওই অঞ্চলের অভিভাবকরা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে গত ২৩ আগস্ট প্রথম দুই ভাই-বোনের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে ২৫ আগস্ট দিরাইয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে এবং গত ২৮ আগস্ট ধর্মপাশায় পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ মেয়ে শিশু ও এক ছেলে শিশুর মৃত্যু ভাবিয়ে তুলছে স্থানীয়দের।
জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের গাগলী গ্রামে পানিতে ডুবে মারিয়া বেগম (৪) ও সাইম মিয়া (৪) নামের দুই চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যু হয়। সাইম মিয়া গাগলী গ্রামের সৈয়দুর রহমানের ছেলে ও মারিয়া বেগম সাহিদুর রহমানের মেয়ে। বাড়ির উঠানে খেলা করছিল তারা। এক পর্যায়ে সকলের অগোচরে বাড়ি পার্শ্ববর্তী খালে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের না পেয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে অনুসন্ধান চালিয়ে পানির নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। পুকুরের পানিতে ডুবে ২৫ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামে দুই বোনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলো- ওই গ্রামের পরাছ মিয়ার মেয়ে সিমি আক্তার (৭) ও সিমরান আক্তার (৫)।
কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান তালুকদার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরাছ মিয়ার তিন শিশুকন্যা প্রতিদিনের মতো গ্রামের মক্তবে পড়তে গিয়েছিল। পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুকুরের পানিতে পা ধুতে গিয়ে এক বোন পুকুরে ডুবে গেলে তাকে বাঁচাতে আরেক বোন এগিয়ে যায় এবং সেও পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। অন্য শিশুকন্যাটি পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা প্রতিবেশীদের নিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মার্কুলীবাজারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে হাওরের পানিতে ডুবে রিয়া মনি (৭) ও খাদিজা বেগম (৫) নামের দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নানার বাড়ির সামনে হাওরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা জয়শ্রী ইউনিয়নের বড়ই গ্রামের হাবুল মিয়ার মেয়ে।