শহীদ নূর আহমেদ,:: সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় ছড়িয়ে গেছে করোনা সংক্রমণ। জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় নতুন করে আরো ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এ নিয়ে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৮৩ জনে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৫ জন। করোনার কবলে এ পর্যন্ত কেউ নিহত না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জনমনে বাড়ছে আতংক। ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাস্তাঘাট, যানবাহন, দোকানপাঠ ও বিপনী বিতানে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত না করতে পারলে সংক্রমনের হার নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।  সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯৬৯ জনের। এর মধ্যে ফলাফল এসেছে ১৪২০ জনের। ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন ৫৪৯ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৫ জন । আইসোলেশন রয়েছেন ৩৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ রয়েছেন বলে জানা যায়। অপেক্ষমান নমুনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। এদিকে ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঈদ শপিং ও প্রাত্যহিক কাজে রাস্তাঘাট, যানবাহন, বিপনী বিতান, ব্যাংকে জনসমাগম বেড়েছে। এসব ক্ষেত্রে সামাজিক দুরুত্ব মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা বা পথচারী কেউই। অনেকেরই কাছে নেই মাস্ক, গ্লাভস কিংবা সুরক্ষা সামগ্রী। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি প্রবনতা বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।  সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ৮৩ জন লোকের দেহে করোনা সক্রমিত হয়েছে। এর মধ্য থেকে ৪৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মানুষ সচেতন না হলে আর সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত না করলে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকবে বলে জানান তিনি। 
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn