মহী জামান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেঃঃ সুনামগঞ্জ শহরের মধ্যে মোটামুটি বেশ উচু জায়গায় অবস্থিত ছিলো এসডিও বাংলো। বর্তমানে যেখানটায় আছে ডিসির আবাস। ৭৪ সালে স্মরণকালে সর্ববৃহৎ বন্যায় শহরের প্রায় বেশীর ভাগ বাড়িঘর পানির নীচে তলিয়ে যায়। তারপর ও বেশ কয়েকটি স্থাপনা পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। সম্ভবত এসডিও বাংলা ছিলো এর মধ্যে একটি।

আজকে শহরের অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়া থেকে বেঁচে গেলেও স্বয়ং ডিসি সাহেব পানিতে আক্রান্ত হয়েছেন। নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে তোলা তার নিজের ছবি দেখে ভাবছি ডিসি সাহেব কতো অসহায়। ডিসি সাহেবের অসহাত্ব দেখে খুব করুনা হচ্ছে। সুনামগঞ্জবাসীর কথা তাই ভাবা বাদই দিলাম। জেলাবাসীর বিপদ আপদে যিনি দেখবাল করবেন। রক্ষা করবেন। আজ তিনি নিজেই আক্রান্ত। তাকে রক্ষা করার অবস্থা দাড়িয়ে গেছে।

কারনটা কি? কেন এই অবস্থা ? শহরের সবাই কি তাহলে উঁচুস্থানে নিজেদের বাড়ি নির্মান করেছে? না কি ডিসি সাহেবের বাংলো খাদে চলেগেছে। আসলে এর কিছুই না। কারন হচ্ছো শহর পরিবেষ্টিত পানি নিষ্কাশনের খালগুলো হয়েছে বেদখল। ভরাট করে হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। যা কিছু অবশিস্ট ছিলো তা হয়েছে পৌরসভার আবর্জনার ভাগাড়। সেই সাথে অপরিকল্পিত ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ড্রেন ব্যবস্থা হয়েছে সম্পূর্ণ অনুপযোগী।

ডিসি মহোদয়কে তাই অনুরোধ করবো জলাবদ্ধতার কারন ও সমস্যা গুলো চিহ্নিত করুন। অন্তত বে-আইনী দখলদারদের কাছ থেকে সরকারি খাল গুলো উদ্ধারে একটু মনোযোগী হোন। পৌরবাসীদেরকে জলাবদ্ধতা থেকে উদ্ধার করুন। সেই সাথে আপনি নিজেও পানি বন্ধী থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। আজকে হয়তো পানি বন্ধী হয়েছেন আগামীতে হয়তো পানিতে ভেসে যাবেন। আপনার সাথেসাথে সুনামগঞ্জ শহরবাসীও হয়তো একদিন ভেসে যাবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn