বার্তা ডেক্সঃঃ বরগুনার তালতলীতে স্ত্রীর পরকীয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী শাহদাত (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিহতের শ্বশুরবাড়ির তেঁতুলগাছের সাথে স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে রাত ১২টার দিকে নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শাহদাত উপজেলার ছোট ভাইজোড়া এলাকার মৃত্যু নয়া মুন্সীর ছেলে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ভাইজোড়া এলাকার শাহদাতের সাথে একই এলাকার আবদুল ছত্তারের মেয়ে লাকীর সাথে বিয়ে হয় প্রায় ২০ বছর আগে। বিয়ের পর থেকে শাহদাত তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। পরে ওই এলাকার খোরশেদ আলীর ছেলে হাসান আলীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন লাকি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হলেও লাকি তার পরকীয়া অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ করেনি। এমনকি লাকি স্বামী শাহদাতকে পরকীয়ায় জড়িত হাসান আলকে দিয়ে মারধর করে। এরই জের ধরে গত ২ নভেম্বর বরগুনার একটি কাজি অফিসে গিয়ে লাকি তার স্বামী শাহদাতকে তালাকনামা দেয়।

এদিকে শাহদাত বরিশাল রিকশা চালাতো পরে তালাকের বিষয়টি মোবাইল ফোনে স্থানীয়রা জানান তাকে। শাহদাত বরিশাল থেকে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী সে বাড়িতে নেই। পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তোমার স্ত্রী তোমাকে চালাক দিছে। এছাড়াও এই ঘটনার মূলহোতা হিসেবে শাহদাতের শাশুড়ি এই বিষয়টি জানতে পেরে রেকর্ড করে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ কামালকে দিয়ে তার ভাইদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। স্ত্রীর এই পরকীয়া ও তালাকের বিষয়ে অভিমান করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তেঁতুলগাছের সাথে স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহতের বড় ভাই কালাম জানান, শাহদাতের স্ত্রীর সাথে হাসান আলীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এতে স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক ঝামেলা বাড়তে থাকে। এ নিয়ে সালিশ-বৈঠক হয়েছে। স্ত্রী পরকীয়া থেকে না ফেরার অভিমানে শাহদাত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী লাকির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। লাকির সাথে পরকীয়ায় অভিযুক্ত সেই হাসান আলীর সাথেও যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn