স্ত্রী নাসরিনের সঙ্গে সমঝোতা করতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে ১০ দিন সময় দিয়েছেন আদালত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতা না হলে সানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে আদালত জানিয়েছে। নারী নির্যাতন মামলায় ৪র্থ দফায় আরাফাত সানির জামিনের মেয়াদ শেষ হয় বৃহস্পতিবার। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষ হতে যাওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরাফাত সানি। আদালত আরাফাত সানিকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন এবং ওই তারিখের মধ্যে তাদের মধ্যে সমঝোতার পরামর্শ দেন। অন্যথায় আরাফাত সানির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় ফেলে যান। পরবর্তীতে নাসরিন সানির সঙ্গে দেখা করলে সানি তাকে বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি খারাপ হবে। কারণ তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইলে রয়েছে। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, এরপর তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না, তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর। তখন বাদী তার বাসায় চলে যান। এ ঘটনায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। এ মামলায় গত ৯ মার্চ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বাদীর সঙ্গে আপসের শর্তে জামিন নেন আরাফাত সানি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn