স্মার্টফোন হচ্ছে বর্তমান সময়ের পকেট কম্পিউটার। স্মার্টফোন কেবল কথা বলা, এসএমএস ছাড়াও ই-মেইল পাঠানো, ভিডিও কনফারেন্স, সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ, ছবি তোলা, ভিডিও করা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের বিক্রি ও চাহিদা দুটিই বেড়েছে। তাই স্মার্টফোন কেনার পূর্বে একজন ক্রেতাকে নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু মডেলের দিকে না তাকিয়ে এর অভ্যন্তরীণ অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়েছে তা লক্ষ করুন। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল ওএস, অ্যান্ড্রয়েড, নকিয়া সিম্বিয়ানসহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট ভার্সন ব্যবহার করাই উত্তম। ফোনটির ডিসপ্লে সুপার অ্যালমন্ড কিনা তা নিশ্চিত হোন। কেননা টিএফটি ডিসপ্লের তুলনায় অ্যালমন্ড ডিসপ্লের রেজুলেশন ও টাচ্ সেনসিটিভিটি অনেক ভালো। ডুয়েলকোর প্রসেসরের স্মার্টফোনগুলো ভালো। এটি উচ্চ গতির মাল্টিটাস্কিংসহ এর ব্যাটারির লাইফ বেশি। এক্ষেত্রে ফোনটির র্যা ম ৫১২ মেগাবাইটের বা এর ওপরে হলে ভালো হয়। ফোনটিতে ওয়াই-ফাই ও থ্রিজি সাপোর্ট সুবিধা আছে কি না তা নিশ্চিত হোন। উন্নত ইন্টারনেট সেবা পেতে এ ফাংশন দুটি আপনাকে সাহায্য করবে। ফোনটির সামনে ও পেছনে একটি করে মোট দুটি ক্যামেরা আছে কি না তা দেখে নিন। কেননা, সামনে ক্যামেরা না থাকলে ভিডিও কল করা যাবে না। তাছাড়া, পেছনের ক্যমেরাটি ৮ মেগাপিক্সেলের ওপরে হলে ভালো হয়। সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্রাউজিং সুবিধাসহ চ্যাটিং অপশনগুলো কেমন তা যাচাই করে নিন।

মেমোরি ক্যাপাসিটি কেমন ও এতে এক্সটেনডেট মেমোরি ব্যবহার করা যায় কি না তা দেখে নিন। কেননা, মেমোরি ক্যাপাসিটি কম হলে অধিক অডিও ও ভিডিও ধারণ করা যায় না। এক্ষেত্রে ৮ জিবির ওপরে হলে ভালো হয়। জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) আছে কি না এবং থাকলেও তা কাজ করে কি না তা খেয়াল করুন। ক্যামেরার সঙ্গে উন্নতমানের ফোকাসের ব্যবস্থা আছে কি না তা চেক করুন। রাতে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে এটি আপনাকে সাহায্য করবে।বর্তমানে ভয়েস কমান্ড ফাংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এ অপশনটি আপনার দৈনন্দিন কাজকে আরো গতিশীল করবে। সুতরাং আপনার ফোনটিতে ভয়েস কমান্ড ফাংশনের ব্যবস্থা আছে কি না দেখে নিন। সূত্র-টিউনার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn