গাইবান্ধায় আলোচিত তৃষা হত্যা মামলার প্রধান আসামী বখাটে মাস্তান মর্ডান। এ মামলায় ১৪ বছর জেলে খেটেছে সে। কিন্তু তাতেও বোধদয় হয়নি তার। সাজার মেয়াদ শেষ করে বেরিয়ে এসেই আবারও জড়িয়েছেন ঘৃণ্য কাজে। ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মর্ডান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। গাইবান্ধা থানার পুলিশ জানায়, শহরের মাস্টারপাড়ার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে মেয়েটি ওই এলাকার একটি মসজিদের পেছনে পৌঁছলে বখাটে মর্ডানসহ কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। তারা তার মুখে কাপড় গুজে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে বাদিয়াখালী এলাকার একটি কম্পিউটার দোকানের পেছনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি গোপন রাখার স্বার্থে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে গাইবান্ধা পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কারণ ওই বখাটে গাইবান্ধার চাঞ্চল্যকর তৃষা হত্যা মামলার প্রধান আসামী। ওই মামলায় তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া দিয়েছিলেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ১৪ বছর কারাভোগের পর সদ্য জেল থেকে বেড়িয়ে আসে। পুুলিশ দীর্ঘ চেষ্টার পর শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ধর্ষক ও অপহরণকারী মর্ডানকে। আজ সকালে তাকে গাইবান্ধায় আনা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা লিজা উল্লাহ বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn