আমেরিকার ভিসার জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হলো
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইন অনুযায়ী এখন থেকে দেশের ভিসার জন্য প্রায় সব আবেদনকারীদের ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। খবর বিবিসি।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নূতন নিয়মে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহৃত নাম এবং গত পাঁচ বছর যাবত ব্যবহার করছে এমন ই-মেইল এবং ফোন নম্বর জমা দিতে হবে। গত বছর যখন এই নিয়মের প্রস্তাব করা হয়, তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হিসেব করে দেখেছিল যে এর ফলে এক কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করবে। কূটনীতিক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে সবসময় এই কঠোর ব্যবস্থা নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কিংবা পড়াশুনার জন্য যারা যেতে আগ্রহী তাদের তথ্য জমা দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে তাকে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করে তাহলে সেটি উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে ভিসা আবেদন ফর্মে।
ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড নজরদারীতে রাখতে চায় মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে দেখা গেছে যে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বাছাই করা সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন এ নিয়মের প্রস্তাব করে। সে সময় আমেরিকার একটি মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারী করে কোন কার্যকর কিছু হয়েছে এমন প্রমাণ নেই।সংস্থাটি বলেছে, এর ফলে মানুষ অনলাইনে তাদের মতপ্রকাশের বিষয়টি নিজে থেকেই সীমিত করে ফেলবে।