সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর অনুমোদন দেয়ার পর সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে বিমানের টিকিট হাতে পাওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে। এই সুযোগে সৌদি আরবের ভ্রমণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। তবে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ওইসব প্রতিষ্ঠান। অনলাইন আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, যেসব অভিবাসী সৌদি আরবে কাজে ফিরতে চাইছেন, তারা অভিযোগ করেছেন বিমানের ভাড়া হিসাবে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আংশিক চালুর সিদ্ধান্ত দেয়ার পর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। অভিবাসীদের জন্য সীমিত ক্যাপাসিটির সার্ভিস চালু করেছে বিমানের অপারেটররা। কিন্তু যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের কাছ থেকে বিমানের ওয়ানওয়ে টিকিটে উচ্চ মূল্য হাঁকানো হচ্ছে। রিয়াদে একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির সুপারভাইজার মোহাম্মদ আসলাম জামিল।

তিনি আরব নিউজকে বলেছেন, লোকজন যেমনটা মনে করছে টিকিটের মূল্য আসলে ততোটা বেশি নয়। তারা এটাকে ‘হাই সিজনের’ টিকিট বুকিং দেয়ার মতো করে বিবেচনা করতে পারেন। তিনি বলেন, এমনিতেই আপ-ডাউন টিকিটের চেয়ে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য সব সময়ই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা একটি যৌক্তিক পরিমাণ ভাড়া রাখছে, এজন্য তাদের প্রশংসা করা উচিত। কারণ, ৬ মাসের বেশি সময় এই ব্যবসা একেবারেই বন্ধ ছিল।  ওদিকে ছুটিতে অবকাশ যাপনের বুকিং নেই বললেই চলে। জানুয়ারিতে যদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়, তাহলে হয়তো নিয়মিত ফ্লাইট চালু হতে পারে। তাতে এই ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে সৌদি আরবের কোনো নাগরিককে সৌদি আরবের বাইরে সফর করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অনুমোদন নিয়ে কেউ বাইরে যেতে পারেন। এ অবস্থায় আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে হয়তো এই ব্যবসায় প্রাণ ফিরে আসতে পারে।
বিশ্বে পর্যটন শিল্পে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ আবাসন সুবিধাদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েববেডস-এর সৌদি আরব ও বাহরাইনে সেলস বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিরোজ খান বলেছেন, সৌদি আরব ফ্লাইট স্থগিতাদেশ আংশিক প্রত্যাহার করেছে। ফলে ভারতীয়রা তাদের দেশ থেকে সৌদি আরবে আসার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। মানুষজন আটকা পড়েছেন। তারা ফিরতে চাইছেন সৌদি আরবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ফ্লাইট সীমিত। যেসব বিমানের ফ্লাইট চালানো হচ্ছে, তা আকারে ছোট। ফলে বিমানের টিকিটের চাহিদা বেড়ে গেছে অনেক। এর ফলে ভাড়া বাড়ছে। ফিরোজ খান বলেন, ‘হাই সিজনে’ বিমানের ভাড়া যেমন থাকে, এখন সেই রকম ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যেমন দিল্লি থেকে রিয়াদের গড় ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০০০ সৌদি রিয়াল বা ৫৩৩ ডলার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn