গতকাল মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। খেলার শুরুতে হ্যারি কেইনের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সামুয়েল উমতিতির গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। বিরতির খানিক আগে সিদিবের গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কেইনের পেনাল্টি গোলে ইংলিশরা সমতায় ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ দিকে উসমান দেম্বেলের গোলে জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। প্যারিসে ম্যাচের নবম মিনিটে গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে ডেলে আলির লম্বা ক্রস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাহিম স্টার্লিং ব্যাকহিল করেন ছুটে আসা রায়ান বার্ট্রান্ডকে। সাউথ্যাম্পটনের এই ডিফেন্ডারের আড়াআড়ি পাস গোলমুখে পেয়ে জালে ঠেলে দেন কেইন। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি ইংলিশদের। ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। অলিভিয়ে জিরুদের হেড গোলরক্ষক টম হিটন ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে যান উমতিতি, লক্ষ্যভেদে কোনো সমস্যায় হয়নি বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৪৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন সিদিবে। মূল কৃতিত্ব অবশ্য দেম্বেলের। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এই মিডফিল্ডারের শট এবারও ঠেকিয়েছিলেন হিটন কিন্তু ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে জালে জড়ান মোনাকোর ডিফেন্ডার সিদিবে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বড় ধাক্কা খায় ফরাসিরা। আলিকে ডি-বক্সে রাফায়েল ভারানে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি এবং পরক্ষণেই ভিডিও রেফারির দিকে ইঙ্গিত করেন। পরে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার ভারানেকে লাল কার্ডও দেখান। কেইনের সফল স্পটকিকে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। ৭৮তম মিনিটে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। পল পগবার পাস ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে এমবাপে বল বাড়ান ডান দিকে দেম্বেলেকে। কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn