সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ও ধোপাজান নদীপথে  ইউনিয়ন ট্যাক্স আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে দাবী  করছে পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানলেও এ ব্যাপারে  কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলছেন,‘সুরমা ও ধোপাজান নদীতে  চাঁদাবাজির বিষয় সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা নদীপথকে চাঁদাবাজমুক্ত  করার চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে  চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’ অন্যদিকে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ  কার্যালয়ের প্যাডে সুরমা ও ধোপাজান নদীপথে চলাচলকারী নৌযান থেকে  ‘ট্যাক্স’ আদায়ের জন্য কালেক্টর নিয়োগ দিয়েছেন উপজেলার সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার ডিলার। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল ‘ইউনিয়ন পরিষদের  রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে ট্যাক্স আদায়ের জন্য’ সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি কর্মী ফিরিজ আলীকে ১৪২৪ বাংলা সনের ৩০ চৈত্র  পর্যন্ত মেয়াদে ‘কালেক্টর’ হিসেবে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত  কথিত কালেক্টর ফিরিজ আলী আবার সুনামগঞ্জ পৌরসভার হাজীপাড়া নিবাসী বকুল  মিয়া,বড়পাড়া নিবাসী যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ,মাইজবাড়ী নিবাসী  আনোয়ার মিয়া,আরপিননগর নিবাসী মান্না ও জনৈক বেলাল নামে আরো ৬ ব্যক্তিকে তার ব্যবসায়ী পার্টনার করে ‘ট্যাক্স’ আদায়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছেন। এরমধ্যে একজন সংবাদকর্মীও জড়িত রয়েছেন। কথিত কালেক্টর চুক্তিপত্রের ফটোকপি জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করেছেন।’ এদিকে সুরমা-ধোপাজান নদীপথে চলাচলকারী নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ট্যাক্সের নামেই চলছে চাঁদাবাজি। শহরের চান্দিঘাট এলাকায় খেয়াঘাটকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই চাঁদাবাজি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn