এমএ রাজ্জাক-
তাহিরপুর সীমান্তবর্তী বারেকটিলা, নিলাদ্রীলেক, লালঘাট পাহাড়ী ছড়া ও দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট খ্যাত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকায় ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আনা গোনায় এখন মুখরিত। টাঙ্গুয়া হাওর, বারেকটিলা, নিলাদ্রীলেক ও লালঘাট পাহাড়ী ছড়াসহ আকর্ষনীয় স্পট গুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে ওঠেছে।  ঈদের ছুটি উপভোগ করতে ঈদের দিন বিকাল থেকে শতাধিক নৌকায় মাইক, ডোল বাজিয়ে বিভিন্ন রঙ্গে সজ্জিত হয়ে দর্শনার্থীরা বিনোদিত হচ্ছেন, এবং গান – বাজনা করে স্থানীয়দের বিনোদিত করছেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে আকর্ষনীয় স্পটগুলোতে কোথাও তিল ধারনের টাই নেই, সব জায়গাতেই এখন লোকে লোকারণ্য।
ঈদের দিন বিকাল থেকে ঢাকা, সিলেট, মহমনসিংহ, নেত্রকোনা, মহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, ছাতক, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, সুনামঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে শ’ শ’ মানুষ বারেকটিলা, নিলাদ্রীলেক, লালঘাট পাহাড়ী ছড়া ও টাঙ্গুয়া হাওর উপভোগ করছেন পর্যটকরা।  নরসিংদী জেলার শেখেরচড় বাবুর হাট থেকে একদল তরুন এসেছেন প্রাকৃতিক এ উপজেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কথা হয় ক্বারী আব্দুল হাই মেমোরিয়াল স্কুল এর শিক্ষক নাহিদুল ইসলাম মুরাদের সঙ্গে। তিনি জানান, “ বারেকটিলা, নিলাদ্রীলেক, লালঘাট পাহাড়ী ছড়া, দেশের সব ছেয়ে বড় শিমুল বাগান ও টাঙ্গুয়া হাওরের আকর্ষণীয় সম্পটগুলো যে কত সুন্দর, তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।”   তিনি বলেন, ‌‘‘যদি এই স্পটগুলো পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয় তাহলে আরও পর্যটকদের সমগম ঘটবে।” সিলেট ল. কলেজের ছাত্র ঝুটন পাল জানান, ‘ঈদের ছটিতে ঘুরে আসুন তাহিরপুরে অপরুপ সৌন্দর্য্যময় স্পটগুলোতে’ নিউজ পোর্টাল সিলেটভিউ ২৪ ডটকম এ এক সংবাদ দেখে আমরা এখানে এসেছি। সংবাদ পরে যা জেনেছি, তার ছেয়েও বারেকটিল, নিলাদ্রীলেক, লালঘাট পাহাড়ী ছড়া ও টাঙ্গুয়া হাওরের অপরুপ দৃশ্যগুলো আরও সুন্দর।
বারেকটিলার নিচে পাহাড়ী নদী যাদুকাটর সচ্চ পানি আর নূড়ি পাথর ও বালির খেলা দেখে মুগদ্ধ হচ্ছেন এখানে আসা দর্শানার্থীরা। নেত্রকোনা থেকে নৌকা ভ্রমনে আসা কলেজ পড়ুয়া রুপালী,স্যামা ,রোমা, ওহি জানান, যাদুকাটা ও নিলাদ্রী লেকে গোসল করে মনে হচ্ছে শরীরটা ভাল লাগছে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, যাদুকাটা নদীর পানি খুব পরিষ্কার,পানির দিখে তাকেলে নিজের মুখ আয়নার মত ভেসে উঠে, নদী থেকে মেঘালয় পাহাড়ের দৃশ্য দেখে মনে শান্তি পেয়েছি। বারেকটিলাতে ঘুরতে আসা বরিশালের রানী নামের এক কলেজ শিক্ষিকা বলেন, “বারেক টিলা দেখে খুব ভাল লেগেছে, মনে হচ্ছে হিমালয়ে আরোহন করেছি। বারেকটিলার উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে নদ-নদী গাছ-পালা বাড়ী-ঘরগুলো ছোট ছোট দেখা যায়।” দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট খ্যাত টাঙ্গুয়া হাওরের বুক জুড়ে রয়েছে সুবিশাল চির সবুজের বেষ্টনী। সারি সারি হিজল,করচ,নলখাগড়ার বিপুল সমাহার। এই সুবিশাল সবুজ বেষ্টনীর রুপ দেখে মুখরিত হচ্ছেন এখানে আসা দর্শানার্থীরা। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান জানান, ঈদ ছাড়াও এখানে প্রতিদিন হাজারো পর্যটকদের আগমন লক্ষনীয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে পর্যটন এরিয়া বাস্তবায়ন হলে সরকার এসব স্পট থেকে কোটি টাকা রাজস্ব আয় পাবে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn