বার্তা ডেস্ক :: কুমিল্লায় আদালতের এজলাসে এক আসামির ছুরিকাঘাতে অপর এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মো. ফারুক (৩৫)। সোমবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত তৃতীয় দায়রা জজ আদালতে বিচারকের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ওয়াহিদুল্লাহর ছেলে। আর অভিযুক্ত ঘাতক হাসান লাকসাম উপজেলা সদরের শহীদুল্লাহর ছেলে। পুলিশ হাসানকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, সোমবার জেলার মনোহরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আসেন আসামি হাসান ও ফারুক। দুজন এ মামলার আসামি। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। দুপুরে অতিরিক্ত তৃতীয় দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস আসনে বসলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। মামলার শুনানিকালে ফারুকের কারণে হাসানকে আসামি হতে হয়েছে, এমন অভিযোগ করা হয়। এ সময় হাসান এজলাসেই ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে এবং তাকে বিচারকের খাস কামরার দিকে নিয়ে যায়। আসামি হাসানের আইনজীবী শাহনেওয়াজ সুলতানা জানান, ২০১৫ সালের একটি হত্যা মামলার হাজিরার দিন ধার্য তারিখ ছিল আজ। এ মামলায় আসামি হিসেবে হাসান, ফারুক ও রিনা হাজিরা দিতে আসেন। মামলার কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসান ফারুককে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ফারুককে মারতে মারতে বিচারকের খাস কামরার দিকে নিয়ে যায়। সেখানে বিচারকের সমানেই তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনা দেখে বাঙ্গরা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ সঙ্গে সঙ্গেই বিচারকের খাস কামরায় গিয়ে ঘাতক হাসানকে আটক করে ছুরিটি উদ্ধার করে। কোর্ট পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহাম্মেদ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ফারুকের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাতক হাসানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সৌজন্যে : যুগান্তর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn