চট্টগ্রাম নগরীতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  কর্মসূচি শেষে বের হবার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সদ্য খুনের শিকার সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার বিচার চেয়ে ওবায়দুল কাদেরের গাড়ি ঘিরে স্লোগান দেন। এর আগে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার সময়ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন দলের এই শীর্ষ নেতা। সোমবার বিকেলে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেয়া শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সুদীপ্ত হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান শুরু করেন।  এসময় ওবায়দুল কাদের তাদের বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন।

তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি এখানে আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় জননেতা আতাউর রহমান খান কায়সার সাহেবের স্মরণসভায় এসেছি। তোমাদের দাবিদাওয়া থাকলে তোমরা আমার সঙ্গে পরে দেখা কর।  কিন্তু এখানে স্লোগান দিয়ে আলোচনা সভার যে গাম্ভীর্য্য সেটাকে খাটো করো না। এক পর্যায়ে তিনি স্লোগান বন্ধ না করলে বক্তব্য না দেয়ার হুঁশিয়ারি দিলে অনুষ্ঠানস্থলে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। স্মরণ সভা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ওবায়দুল কাদের গাড়িতে এসে বসার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক’শ নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ধরেন।  এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সুদীপ্ত হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন, প্রতিবাদের শেষ পথ/অস্ত্র হাতে রাজপথ। বিক্ষোভের মধ্যে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি গিয়ে গাড়িতে বসা ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করেন, সুদীপ্তের সন্দেহভাজন খুনীদের পক্ষ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচজন কাউন্সিলর পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন।  এতে খুনীদের পার পেয়ে যাওয়ার শংকা তৈরি হয়েছে।

জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি বলেন, পাঁচজন কাউন্সিলর যে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে খুনীদের পক্ষ নিয়েছেন সেটা আমরা কাদের ভাইকে বলেছি।  তিনি মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে কাউন্সিলরদের নাম জানানোর জন্য বলেছেন।  আমরা বিবৃতি এবং বিবৃতিদাতাদের নাম কাদের ভাইকে দিয়েছি। এদিকে প্রায় ১৫ মিনিট ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন এবং ইমু ও রণি গিয়ে কাদেরের গাড়ি বের করে দেন।  পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কাদের ‍গাড়িবহর অনুসরণ করেও স্লোগান দেন। গত শুক্রবার নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা।  চারদিনেও খুনের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn