কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। চিকিত্সা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা সব জায়গাতেই হয়তো একদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান হবে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মানুষের এই অতি নির্ভরতাই হয়তো একদিন কাল হয়ে দেখা দিতে পারে।বিশ্বের শীর্ষ কয়েক জন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এটি এক সময় হয়তো মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে ইলন মাস্ক—বিশ্বের শীর্ষ কয়েক জন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  সম্প্রতি নতুন একটি বইতে বলা হয়েছে, রোবট আসলে নিজে থেকে সচেতন হয়ে উঠছে না বা তাদের মধ্যে মানুষের বিরুদ্ধে কোনো মনোভাবও তৈরি হচ্ছে না যেটি ভয়ের কারণ হতে পারে। কিন্তু আসলে এসব যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এগুলো এতটাই দক্ষ হয়ে উঠছে যে, হয়তো দুর্ঘটনাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ভুল কোনো কাজে লাগানোর মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে। ‘হিউম্যান কম্প্যাটিবল : এআই অ্যান্ড দি প্রবলেম অব কন্ট্রোল’ নামের বইতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টুর্ট রাসেল বলেছেন, হলিউডের সিনেমায় দেখানো হয় যে, যন্ত্রগুলো নিজে থেকেই সচেতন হয়ে উঠছে এবং তারপরও তারা মানুষকে ঘৃণা করতে শুরু করে আর সবাইকে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রোবটের কোনো মানবিক অনুভূতি থাকে না। সুতরাং সেটা একেবারেই অহেতুক একটা বিষয় যা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, এখানে আসলে খারাপ মনোভাবের কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের আসলে তাদের দক্ষতার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। সুতরাং যদি একটি যন্ত্র এমন একটি উদ্দেশে কাজ করতে শুরু করে, যা ঠিক নয়, তখন সেটি মানব সভ্যতার জন্য শত্রু হয়ে উঠতে পারে।-বিবিসি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn