সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, সুনামগঞ্জে যে সকল জলমহাল উন্মুক্ত আছে, সেগুলো হাওরের ফসলহারা কৃষক-জেলেদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের পুনর্বাসনের অংশ হিসাবে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার ৫৭ জন নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ সিলেটিদের সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের অর্থায়নে এই সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ইজারাকৃত প্রতিটি জলমহালের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এবং সীমানার বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ কৃষক ও জেলেরা মাছ ধরতে পারবেন। কৃষক ও জেলেদের স্বার্থে বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন যুগ্ম সচিব সৈয়দ জগলুল পাশা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান, সংগঠনের সদস্য মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী ও আ ফ ম সিরাজুল ইসলাম শামীম, সুনামগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালেহ আহমদ, সাংবাদিক পঙ্কজ কান্তি দে প্রমুখ। সৈয়দ জগলুল পাশা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি মাথায় রেখে বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। পরে নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।

সুনামগঞ্জে এ বছর দুই লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। এপ্রিল মাসের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে জেলার ১৫৪টি হাওরের বোরো ধান তলিয়ে যায়। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে এবার ১৫৪টি হাওরে এক লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লাখ ২৫ হাজার ৯৯০ কৃষক পরিবার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn