লিওনেল মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে চার ক্লাব। ইন্টার মিলান, প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও ম্যানচেস্টার সিটির নাম আগেই শোনা গেছে। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।  বৃটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মেসির এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেছে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক স্পোর্তও মেসির প্রতি ম্যানইউর আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মেসির পিতা হোর্হে মেসির সঙ্গেও নাকি কথা বলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বৃটিশ ও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ম্যানইউর এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট এড উডওয়ার্ড এতে আগ্রহী। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে টেক্কা দিয়ে মেসিকে লুফে নিতে চায় ক্লাবটি।তবে মেসি ফ্রি ট্রান্সফারে বার্সা ছাড়বেন নাকি তার রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করে কিনতে হবে- বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মেসির নিজের চাওয়াটাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ম্যান সিটিতে আছেন তার পছন্দের কোচ পেপ গার্দিওলা। যার অধীনে ২০০৮-১২ পর্যন্ত খেলেছেন মেসি। দু’বার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা। গার্দিওলার হাত ধরেই বিশ্বসেরা ফুটবলার হয়ে ওঠেন তিনি।  

মেসি পিএসজিতে যোগ দিতে পারেন নেইমারের কারণে। মেসি কখনো চাননি বার্সা ছেড়ে যান নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা পিএসজিতে চলে যাওয়ার পর তাকে ন্যু ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনার জন্য বার্সেলোনাকে চাপ দিতে থাকেন মেসি। কিন্তু কাতালান ক্লাবটি তার পছন্দের খেলোয়াড়কে এনে দিতে পারেনি। এ নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্পোর্তকে দেয়া সাক্ষাতকারে ক্ষোভ উগরে দেন মেসি। বলেন, নেইমার ফিরলে ভালো হতো। সত্যি বলতে আমি ঠিক জানি না তাকে ফেরাতে বার্সা সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করেছে কি না। ইন্টার মিলানে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ইতালির আরেক ক্লাব জুভেন্টাসে রয়েছেন মেসির দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেসি এর আগে বলেন, রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে মিস করছেন। দু’জন দুটি ভিন্ন লীগে খেলায় ব্যক্তিগত দ্বৈরথটাও ঠিক জমছে না। আরেকটি কারণ হলো সেখানে রয়েছেন মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ লাওতারো মার্টিনেজ। জাতীয় দলে তরুণ এই ফরোয়ার্ডের সঙ্গে রসায়নটা ভালোই জমেছে মেসির।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn