চান মিয়া-

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে যৌতুকের জন্যে একবছরেই সংসার ভেঙ্গেছে তাহমিনা বেগমের। সে ইছাকলস (পশ্চিম নিজগাঁও) গ্রামের মৃত সোহরাপ মিয়ার মেয়ে। এব্যাপারে তাহমিনা বেগম (২১) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে একটি সিআর মামলা (নং ১৩৭/২০১৬ইং) দায়ের করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৫সালের ২৬জুন দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউপির নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুস শহিদের পুত্র শাহনাজ সিদ্দিকীর সাথে তাহমিনা বেগমের বিয়ে হয়। এসময় তারা সিলেট নগরীর চৌকিদিঘী রংধনু ১৮৫/০৬ ভাড়াটে বাসায় অবস্থান করছিলেন। বিয়ের ৬মাস পর থেকে শ্বাশুড়ি হাজেরা বেগম ও শ্বাশুড় আব্দুস শহিদ ও স্বামি শাহনাজ একলক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করলে নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করে পিত্রালয় থেকে ১০হাজার টাকা এনে স্বামির হাতে তুলে দেয়। কিন্তু এরপরও তাহমিনার কপালে সূখ জুটেনি। ২০১৬সালের ১৫সেপ্টেম্বর কাঁচামালের ব্যবসার জন্যে একলক্ষ টাকার জন্যে তাহমিনার উপর তারা জুলুম-নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু হতদরিদ্র পিতার কাছ থেকে তাদের দাবিকৃত এক লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় বিয়ের মাত্র একবছর দু’মাসের মধ্যেই তাহমিনাকে পিত্রালয়ে ফিরতে হয়েছে। মেয়ের দুঃখ-দুর্দশা দেখে মনোকষ্টে জর্জরিত হয়ে একপর্যায়ে তাহমনিার পিতা মারা যান। এরপর তাহমিনা বাদি হয়ে ২০১৬সালের ৩অক্টোবর সিলেট আদালতে স্বামি, শ্বাশুড় ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে এমামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন শাহনাজ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে বাদি তাহমিনা বেগম জানন, মামলার প্রধান আসামি শাহনাজ সিদ্দিকী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে রয়েছে। তিনি যৌতুক লোভি আসামিদের গ্রেফতারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামণা করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn