সিদ্দিকী নাজমুল আলম::ক্ষমতাসীন সময়ের রাজনীতিতে যে যতো বড় ভণ্ড, সে ততো বেশি ক্ষমতাশালী, যে যতো বড় বাটপার সে ততো বড় সাকসেসফুল, যে যতো বড় অভিনেতা সে ততো বড় সাধু রুপধারী, যে যতো বড় চোর সে ততোই বেশী সৎ জীবন ভাবধারী, যে যতো বেশী লুচ্চা সে ততো বড় চরিত্রবান সেজে বসে থাকে, যে যতো বড় মিথ্যুক সে ততো বেশী সত্যের বুলি ফোটাতে থাকে নাকে মুখ, যে যতো বড় ঠকবাজ সে ততো বড় আমানতদার সেজে বসে থাকে, যে অশিক্ষিত বর্বর সে ততো বেশী শিক্ষিতের ভাবধারী, যে যতো বড় চামচা সে ততোই কাছের লোক, যে যতো বড় মাদকসেবী সে ততো বেশী মাদক বিরোধী ভাব ধরে, যে যতো বড় ভিতু সে ততো বড়ই সাহসী সেজে থাকে, যে যতো বড় প্রতারক সে ততো বড় হাতেমতাই রুপধারী, যে যতো বড় ছলনাময়ী সে ততো বড় মেধাবী রুপধারী, আর যে যতো বেশী কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সে ততো বড় কর্মীবান্ধব সেজে বসে থাকে।

সবশেষে দু:সময়ে যারা ছিলো না রাজপথে অথবা ফাঁকিবাজ অথবা সুযোগসন্ধানী তাদেরকেই বলা হয় ক্রিয়েটিভ এবং ক্লিন ইমেজধারী। স্বৈরাচার এরশাদের সময় ছাত্ররাজনীতি থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়া, বিরোধী দলের সময় উচ্চ শিক্ষার নামে দেশ বিদেশে সাপের গর্তে লুকিয়ে থাকা চূড়ান্তভাবে ১/১১ তে নেত্রীর পাশে থাকতে না চাওয়া কিংবা নিজেকে নিরাপদ রাখা প্রত্যেকটি অমানুষের চরিত্র এক এবং অভিন্ন। এরাই বর্তমানে ক্লিন ইমেজধারী এবং মেধাবী সেজে বসে আছে এবং বিপথে পরিচালনার চেষ্টা করছে। ওহে অমানুষের দল মধু খেয়ে চলে যাবি কিন্তু চাকটা ভাঙিস না, তাইলে যারা মধু সংগ্রহ করে তারা আশ্রয়টুকুও হারাবে। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn