সোশ্যাল মিডিয়ার সময়ে এক ক্লিকেই গোটা পৃথিবী হাতের মুঠোয়। মুহূর্তে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে ছবি-ভিডিও। এর যেমন ভাল দিক আছে, তেমনি আছে একটি মারাত্মক দিকও। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিকে হাতিয়ার করেই সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সন্ত্রাসের বিষ ছড়াচ্ছে জেহাদিরা। সন্ত্রাসবাদীদের পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে উপরে আছে ইউটিউব। কারণ, ইউটিউবে অতি সহজেই পৌঁছে দেয়া যায় ভিডিও বার্তা। তাই ইউটিউবকে ব্যবহার করেই জেহাদের বার্তা ছড়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এবার সেই কাজটি আটকে দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। নেয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। গুগল এর নেতৃত্বাধীন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা ছড়াতে পারে এমন কয়েক হাজার ভিডিও ও চ্যানেল সরিয়ে নেয়ার চিন্তা করছে সংস্থাটি। এই লক্ষ্যে শুরু হয়েছে কাজ। ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের সাইট থেকে সমস্ত বিশৃঙ্খলামূলক বা হিংসাত্মক ভিডিও সরিয়ে দেয়া হবে। যে সমস্ত চ্যানেল এই ভিডিওগুলি ছড়ায় সেগুলিকেও বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। গুগলের মালিকানাধীন সংস্থাটি বলছে, বিদ্বেষ, হয়রানি, বৈষম্য ও হিংসা উসকে দেয়ার জন্য আমাদের প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।

বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে ইউটিউব। এতে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে এমন সমস্ত ভিডিও নিষিদ্ধ করা হবে বলে বুধবার এক ব্লগ পোস্টে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে যদি কোনো জঙ্গি সংগঠন কোনো হামলার দায় স্বীকার করে ফেসবুকে পোস্ট করে, তাদের ভিডিও-ও সরিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ সন্ত্রাস এবং ভুয়া খবর রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকি ছিল ইউটিউব, এবার তারাও কার্যকরী পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn