একেএম ফখরুল ইসলাম ওরফে কাশেম। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৮ বছর। সদালাপী হিসেবে পরিচিত এই প্রকৌশলী বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদে দান করতেন দুহাতে। দেশ ও নিজ অধিদপ্তরের কল্যাণে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ন্যায়নীতির বুলিও আওড়াতেন। সব সময় নীতিনৈতিকতার কথা বললেও ফখরুল ইসলাম নিজেই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করতেন না প্রকৌশলী ফখরুল। দীর্ঘদিন একই পদে থেকে নিজ অধিদপ্তরকে পরিণত করেন দুর্নীতির আখড়ায়। নৌযানের নকশা অনুমোদন, নিয়োগ, বদলির ক্ষেত্রে দপ্তরে বসে প্রকাশ্যেই লেনদেন করতেন ঘুষের অর্থ। কেনাকাটায়ও ব্যাপক দুর্নীতি করতেন। এর মাধ্যমে তিনি গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। বেশ কয়েকটি নৌযানের মালিক তিনি। দেশে এবং দেশের বাইরেও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। অবশেষে গত মঙ্গলবার মতিঝিলের কার্যালয়ে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেপ্তার হন। দুদকের দুই দিনের রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে।

প্রকৌশলী ফখরুলের সম্পদ ও অর্থের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানেই তার শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। অভিযুক্তের কাছ থেকে তার সম্পদের বিবরণী পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কথা বলবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

সর্বশেষ পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ছাড়াও প্রকৌশলী ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ইতোমধ্যে দুদকে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে। নানা অভিযোগের কারণে ফখরুল ইসলামকে অপসারণের সুপারিশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কিন্তু মন্ত্রণালয় ওই দুর্নীতিবাজের পক্ষ নিয়ে বলে, ‘তিনি (ফখরুল) চলে গেলে সেখানে কাজ করার মতো আর কেউ নেই।’
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও কমিটির সদস্য এম আব্দুল লতিফ। বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত থাকলেও তিনি এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

বিশ্বস্ত সূত্র ও প্রকৌশলী ফখরুলের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজ গ্রাম লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়ন ও পিরোজপুরে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়েছেন। রাজধানীর রমনা থানা এলাকার নিউ ইস্কাটনে মাত্র ৬০০ গজের মধ্যে কিনেছেন প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল ৫টি ফ্ল্যাট ও বাড়ি। এর মধ্যে নিউ ইস্কাটনের ৫০/বি ১৭ তলা শান্তা গার্ডেনের লিফটের ১১ তলায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী মোহসিনা ইসলাম, ৩ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। নিউ ইস্কাটনের ৪৭ দিলু রোডের বহুতল ভবন সামি গার্ডেনের দোতলায় ১২৮৫ স্কয়ার ফিটের বি-১ আলিশান ফ্ল্যাটটি তিনি উপহার দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী ভিয়েতনামের বুথি খান লিকে। এখন ধর্মান্তরিত হয়ে লায়লা খান লাইলী হয়েছেন। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ওই ফ্ল্যাটে থাকেন লাইলী। প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের নিউ ইস্কাটন বাংলামোটরের ৬২ এবং ৬২/এ নম্বর দুটি রেডিমেড বহুতল ভবন ভাড়া দিয়ে রেখেছেন একেএম ফখরুল ইসলাম। শৌখিনতার নামে নিউ ইস্কাটন বাংলামোটরের ৬২ নম্বর ভবনের ৪ তলার ছাদে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির প্রায় ২০০ পাখি লোহার জালে আটকে রেখেছেন।

তা দেখভালের দায়িত্বে আছেন কেয়ারটেকার জাকির হোসেন। ওই পাখিঘরের পাশেই একটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে জনৈক নান্না মিয়া ওরফে নান্নু মিয়ার জন্য। তিনি ফখরুল ইসলামের সব অপকর্মের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এলেই নান্না উঠতেন ওই ঘরে। সেখানে বসেই নাড়তেন কলকাঠি। দীর্ঘদিন ধরে ফখরুল ইসলামের ঘুষবাণিজ্যের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এ নান্না মিয়া নৌযানের নকশা ও ফিটনেস অনুমোদনে কাজ করে আসছিলেন। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের নৌযানের নকশা ও ফিটনেস অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুষবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। গত বৃহস্পতিবারও ওই বাসায় ছিলেন নান্না। কিন্তু ঘুষসহ ওই প্রকৌশলী গ্রেপ্তারের পর পরই লাপাত্তা নান্না মিয়া।

ইস্কাটনের ওই ৫ ফ্ল্যাটবাড়ি ছাড়াও রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে ২ নম্বর সড়কের ২ নম্বর প্লটে বিশাল আকৃতির বহুতল বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফখরুল ইসলাম। সেটা ভাড়া দেওয়া আছে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজার পেট্রোলপাম্প-সংলগ্ন স্থানে স্ত্রীর নামে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এসএমকে নামে একটি হাসপাতালও। যাত্রী ও মালবাহী ১৮টি নৌযান এবং মূল্যবান জমিসহ বিভিন্ন সম্পত্তি তার স্ত্রী মোহসিনা ইসলাম ও সহযোগী নান্না মিয়ার নামে রয়েছে। আরও রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিয়োগ। এ ছাড়া আনন্দ-১ নামে ২ কোটি টাকা দামের একটি মালবাহী কোস্টার, পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দুরহাট থেকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট রুটের যাত্রীবাহী তিনটি লঞ্চ, নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজারকেন্দ্রিক আনন্দ নামের আটটি মালবাহী মিনি কার্গো লঞ্চ রয়েছে ফখরুল ইসলামের। স্বরূপকাঠি থানার পেছনে একটি ডকইয়ার্ডে আনন্দ-২ ও আনন্দ-৩ নামে ৬ কোটি টাকার দুটি বড় মালবাহী কোস্টার নির্মাণাধীন রয়েছে। আরও পাঁচটি কোস্টারের নকশা অনুমোদন করা রয়েছে। সম্প্রতি নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজারসংলগ্ন মুগারঝোর মৌজায় দুটি বাণিজ্যিক প্লটে ১৩ শতাংশ জমি অর্ধকোটি টাকায় ফখরুল ইসলামের স্ত্রী মোহসিনা ইসলামের নামে কিনে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

ফেয়রি শিপিং লাইন্সের নামে ৪টি লঞ্চ (তাসরিফ ১-৪) প্রস্তুত করা হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম তার দাবি করা ঘুষ না দেওয়ায় ওই কাজ আটকে রাখেন। পরে আদালতের শরণাপন্ন হন ফেয়রি শিপিং লাইন্সের কর্ণধার। আদালত মালিকের পক্ষে রায় দিলেও সে নির্দেশও উপেক্ষা করেন ফখরুল। এখন পর্যন্ত জাহাজের নকশার অনুমোদন পাননি ভুক্তভোগী।

সূত্র আরও জানিয়েছে, গত বছর আগস্টে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, অফিস সহকারীসহ নয়জন অয়েল ট্যাংকার ও ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা করে চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এর সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, দুই দিনের রিমান্ডে তিন সদস্যবিশিষ্ট গঠিত টিম প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের কাছে আসামির দুর্নীতির বিষয়ে নানা রকম তথ্য আসছে। সব তথ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ২৬ ধারা অনুযায়ী আসামির সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুমতি চেয়ে আবেদন এখন প্রক্রিয়াধীন। একই সঙ্গে ২৭ ধারায় অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তারা। বৈধ আয়ের তুলনায় অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেলে ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদক আরও মামলা করবে।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফখরুল ইসলাম কী বলেছেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা।

দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল জানান, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন। তার সবই এখন অনুসন্ধানের আওতায়। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা কমিশন নির্ধারণ করবে। দুর্নীতি করলে কেউই ছাড় পাবে না।

প্রকৌশলী ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার ইস্কাটনের বাড়ি ও ফ্ল্যাটে গিয়ে সেখানকার নিরাপত্তাকর্মী ও তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা ফখরুলের বিষয়ে কোনো কিছু বলতে নারাজ। শান্তা গার্ডেনে গেলে নিরাপত্তাকর্মী করিম বলেন, ম্যাডাম (মোহসিনা ইসলাম) সকালেই ঘরে তালা দিয়ে চলে গেছেন। ফলে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। নিউ ইস্কাটনের সামি গার্ডেনে গিয়ে সরাসরি তো নয়ই, ইন্টারকমেও ফখরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী লায়লা খানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভবনের তত্ত্বাবধায়ক সামিউল ইসলামকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন স্বামীর বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। নিউ ইস্কাটন বাংলামোটরের ৬২ এবং ৬২/এ নম্বর দুটি ভবনে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন এ প্রতিবেদক। কিন্তু তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২২ মে ফখরুল ইসলামকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে এ পদে তাকে স্থায়ী করা হয়। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি জাহাজের নকশার অনুমোদন দিয়ে নৌপরিবহন খাতের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জাহাজের আকৃতি অনুযায়ী তিনি ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করতেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ নকশা আগের তারিখ দিয়ে মেয়াদ বাড়িয়ে অর্থের বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। আনন্দ-১ নামে দুই কোটি টাকা দামের একটি মালবাহী কোস্টার, পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দুরহাট থেকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট রুটের যাত্রীবাহী তিনটি লঞ্চ, নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজারকেন্দ্রিক আনন্দ নামের আটটি মালবাহী মিনি কার্গো লঞ্চ রয়েছে ফখরুল ইসলামের। এ ছাড়া স্বরূপকাঠি থানার পেছনে একটি ডকইয়ার্ডে আনন্দ-২ ও আনন্দ-৩ নামে ছয় কোটি টাকা দামের দুটি বড় মালবাহী কোস্টার নির্মাণাধীন রয়েছে। আরও পাঁচটি কোস্টারের নকশা অনুমোদন করা রয়েছে। সম্প্রতি নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজার-সংলগ্ন মুগারঝোর মৌজায় দুটি বাণিজ্যিক প্লটে ১৩ শতাংশ জমি অর্ধকোটি টাকায় ফখরুল ইসলামের স্ত্রী মোহসিনা ইসলামের নামে কিনে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৫ (ক) ধারায় নকশা জমা দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ অনুমোদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে আকারভেদে পাঁচ থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ চেয়েছিলেন ফখরুল ইসলাম। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের আট তলায় প্রধান প্রকৌশলী নিজের অফিসে বসে বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের কর্মকর্তা এএনএম বদরুল আলমের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn