বার্তা ডেস্ক :: ঘুষ যে দেবে সেও অপরাধী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ ঘুষ নিলে শুধু সে অপরাধী, তা কিন্তু নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারাদিন এতো খেটে, এতো কাজ করে পার করি। এখন যদি এই দুর্নীতির কারণে সব নষ্ট হয়ে যায়; এটা সত্যি খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, এই দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেনো কোনো মতেই ক্ষতি না হয়, সে বিষয়টা সবাইকে আরও ভালোভাবে দেখতে হবে। আপনাদের নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত। যারা কাজ করে তাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে যে এটা কখনোই আমরা বরদাশত করবো না। সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। সেইসঙ্গে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও ২০২১ সালকে আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এর মধ্যে বাংলাদেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। একটা মানুষ গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। তিনি বলেন, অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করবো। তাদের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা, সেটা যেনো আমরা পূরণ করতে পারি, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামীণ উন্নয়ন ও গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেনো কাজ খুঁজতে শহরে না আসে, সেভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। যত্রতত্র উন্নয়ন আর যেনো না হয়। অপরিকল্পিত উন্নয়ন হলে জমি নষ্ট হবে এবং তাদের নাগরিক সুবিধা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৫ পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। জনগণের জন্য কাজ করেনি। গত অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সকারী মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরগুলোকে পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। সৌজন্যে: বাংলানিউজ ২৪

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn