চতুর্থবারের মত জিতলেন জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল।  জাতীয়তাবাদীদের ঐতিহাসিক সাফল্যের মধ্যেও মার্কেলের রক্ষণশীল জোট খ্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন-খ্রিশ্চিয়ান স্যোশাল ইউনিয়ন (সিডিইউ-সিএসইউ) আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল সংসদে। খবর বিবিসি।এ নির্বাচনে ৩৪.৫ শতাংশ নিয়ে নির্বাচনে এগিয়ে আছে সিডিইউ-সিএসইউ। এরপর ২১.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে  প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া  স্যোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসডিপি)। এরপরই ১৩.৬ শতাংশ ভোট নিয়ে অবস্থান করছে জাতীয়তাবাদীদের দল এএফডি।এর মধ্যে মার্কেলের জোট পেয়েছে ২৩৯টি আসন। আর অন্য দুই দল যথাক্রমে ১৫০ ও ৯৪টি আসন। এ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদীদের উত্থানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতে সংসদে জায়গা করে নিলে ডানপন্থীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আশানুরূপ ফল পায়নি মার্কেলের নেতৃত্বাধীন সিডিইউ-সিএসইউ জোট। তার নেতৃত্বে অর্জিত এ ফলাদফলকে রীতিমত ‘খারাপ’ বলে মন্তব্য ওঠেছে জোটের মধ্য থেকেই। ১২ বছর ধরে দেশটির সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করা এঞ্জেলা মার্কেল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি নিজেও আশা করেছিলেন আরও ভাল ফলাফলের।

নির্বাচনের আগেই দেশের অভিবাসন, শিক্ষা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন মার্কেল। এ ছাড়াও শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুও প্রাধান্য পাবে তার সরকারে। এ ছাড়াও চ্যান্সেলর মার্কেল তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বেকার সমস্যা, যা ইতোমধ্যে কমেছে, হ্রাস এবং মোডেস্ট ট্যাক্স কমানোর কথা দিয়েছেন। তবে ২০১৫ সালে নেয়া ‘ওপেন ডোর’ পলিসি আগামীতে আর পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তার ওই নীতির কারণে দেশটিতে ১০ লাখের বেশি শরণার্থী অবস্থান করছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn