চান মিয়া-

পেশাদার গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতার-

ছাতকে শিমুল আহমদ (৩৫) নামের এক পেশাদার গাঁজা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার গত ১০জুন রাত সাড়ে ৮টায় জাউয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই শওকত হোসেন ও এএসআই সাইফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাউয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে ২কেজি গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত শিমুল আহমদ জাউয়া ইউনিয়নের উত্তর বড়কাপন গ্রামের মৃত তাহির আলীর পুত্র। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চুরির নাটকীয় ঘটনায় তোলপাড়

ছাতকে তালাবদ্ধ দোকানে রহস্যজনক চুরির কথিত অভিযোগ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। পুলিশী তদন্তে ঘটনা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় প্রতিপক্ষ ঘায়েলে পূনরায় আদালতে মামলা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চরম অসন্তেুাষ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মর্যাদ গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র আব্দুল হামিদের মালিকানাধিন মর্যাদ জামে মসজিদের পাশে আব্দুল হামিদ ষ্টোর নামের একটি দোকানে গত ১৪মে’ চুরি কথিত চুরি সংঘটিত হয়। এ নাটকীয় ঘটনায় আব্দুল কাদির বাদি হয়ে একই গ্রামের সেবুল মিয়া, তহশিল মিয়া, হিরন মিয়াসহ ১৪জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি সিআর মামলা (নং ১৮৪/২০১৭ইং ছাতক) দায়ের করা হয়। পরে পুলিশী তদন্তে ঘটনা মিথ্যা প্রমানিত হলেও রহস্যজনক কারনে বাদির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে এসাজানো ঘটনায় আদালতে পূনরায় মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় আজর আলী, আব্দুস সাত্তার, খলিলুর রহমান কাঁচা, আব্দুল হক, মনির উদ্দিনসহ অনেকে জানান, দোকানে দু’জন লোকের বসবাস ও ষ্টিলর দরজা না ভেঙ্গেই দোকান থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল চুরির বিষয়টি ছিল রহস্যজনক। তারা বলেন, এঘটনার প্রায় ৩সপ্তাহ আগে আসামিদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাতক থানায় মামলার (নং ১২/৯৩, তাং ২০.০৪.২০১৭) প্রেক্ষিতে বাদির পুত্র আব্দুল হামিদ জেল খাটে। এর প্রতিশোধ নিতে গিয়েই দোকান চুরি ও একই সাথে দোকানে আগুন দেয়ার নাটকীয় ঘটনাটি সাজানো হয়। বাদি আব্দুল কাদির জানান, দু’জন লোক দোকান ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। দোকান ডাকাতির পর তারা ঘরে আগুন দিয়েছে। তবে আসামিদের সাথে মামলা রয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। মসজিদের তৎকালিন ইমাম গিয়াস উদ্দিন সিরাজী জানান, বাদি পক্ষ রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তাদের দোকানের বাহিরের অংশে কিছু কালো দাগ দেখিয়ে বলেন, ঘর চুরি হয়েছে। এসময় গ্রামবাসি এখানে উপস্থিত ছিলনা। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির ও সদস্য আব্দুল আলিম জানান, বাদি ও আসামিদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে। এজন্যে প্রতিপক্ষ ঘায়েলে দোকান চুরির ঘটনা সাজানো হতে পারে বলে তাদের ধারণা। ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, সাজানো মামলা দায়েরের বিষয়টি এসআই অরূপ সাগরের তদন্তে বেরিয়ে আসায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি। তবে পুলিশ অপরাধ দমনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে  সময়েই অত্যন্ত গুরুত্বশীল বলেও জানান তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn