ছাতকের আরো কিছু খবর পাঠিয়েছেন চান মিয়া
সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ৩৯জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৩
ছাতকে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসির সংঘর্ষে লোকমান আহমদ নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে বড়গল্লা গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। এব্যাপারে নিহতের পিতা মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় মামলা (নং ১৮, তাং ১৬.০৫.২০১৭ইং) দায়ের করেন। মামলায় খেলার রেফারি নূর আলমকে প্রধান আসামি করে ৩৯জনের নামে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারি অফিসার ছাতক থানার এসআই সুহেল রানা ঘটনার রাতেই অভিযান চালিয়ে বড়গল্লা গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র রোকন আহমদ (১৮), একই গ্রামের আসাদ মিয়ার পুত্র আফজাল (১৬) ও বিশ্বনাথ
উপজেলার মান্দারোকা গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র ফজলু মিয়া (৩২)কে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্যে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১৫মে’) উলুরগাঁও ও বড়গল্লা গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫০জন আহত হয়।
বদলী করায় শিক্ষকের হাতে সভাপতি আহত ,এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা
ছাতকে বদলী করায় শিক্ষকের রোষানলে পড়লেন সভাপতি। এনিয়ে পরিস্থিতি এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬মে’) উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর গ্রামে এলাকাসীর এক প্রতিবাদ সভায় সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সভায় বিভিন্ন গ্রামের সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। গত ৮মে’ উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহবুবুর রশীদকে কৃষ্ণনগর বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার গোবিন্দগঞ্জে আলমপুর স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ছামীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালান তিনি। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ, সাহাব উদ্দিন মো. সাহেল, আব্দুল মছব্বির, সাবেক চেয়ারম্যান ফজর উদ্দিন, এডভোকেট ওয়াকিব আলী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোনায়েম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল আহমদসহ সমিতির সভায় তীব্র নিন্দাও জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করা হয়।
এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার বায়েজিদ খান, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক তাহমিনা বেগম জানান, শিক্ষকের সন্ত্রাসী ঘটন দুঃখজনক। তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।