ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত মঞ্জিল হত্যাকান্ডের আসামীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। হত্যাকান্ডের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও জড়িত আসামীদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামী গ্রেফতারে পুলিশের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলাকে দায়ী করছেন মামলার বাদীনি। পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকায় সু-বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন বাদীনির পরিবার। গত ২৬ জানুয়ারী গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট নিজাম বিরানী নামক হোটেলে নাস্তা খেতে এসে বাসি খাবার পরিবেশন নিয়ে বাক-বিতন্ডার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মঞ্জিলকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বিরানী দোকানের মালিক-শ্রমিক ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা করতে এসে বিপাকে পড়তে  হয়েছিল নিহত মঞ্জিলের পরিবার। অবশেষে ঘটনার দু’দিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারী নিহত মঞ্জিলের বড় বোন রিনা বেগম বাদী হয়ে ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র আব্দুল খালিক, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বেরাজপুর গ্রামের মৃত আশা উদ্দিনের পুত্র আজির উদ্দিন, চাকলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র হেলাল, মানিক মিয়া, মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র নিজাম উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, আজির উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিনের পুত্র হেলাল উদ্দিন, শফিক উদ্দিন ও মৃত হারুন মিয়ার পুত্র দিলোয়ার হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা(নং-২৪) দায়ের করা হয়। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় ছাতক থানার এসআই নুর মোহাম্মদ খানকে। প্রকাশ্যে দিবালোকে মঞ্জিলকে হত্যা করে খুনীরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে বলে বাদীনীর অভিযোগ। খুনীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় বর্তমানে বাদী ও মামলার স্বাক্ষীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভয়-ভীতি এবং হুমকী-ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।  হত্যাকারীদের হুমকী-ধামকীতে বাদী ও স্বাক্ষীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। একধিকবার আসামীদের ঠিকানা ও অবস্থান জানানো হলেও আসামী গ্রেফতারে এতটুকু আগ্রহ দেখাননি এসআই নুর মোহাম্মদ। আসামী গ্রেফতারে পুলিশের কাছে ধর্ণা দিতে-দিতে বাদীনি এখন ক্লান্ত  হয়ে পড়েছেন। উপরোক্ত এমন একাধিক অভিযোগ ছাতক প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরেন মামলার বাদীনি নিহত মঞ্জিলের বড় বোন রিনা বেগম। থানা পুলিশের অসহযোগিতার কারনে মঞ্জিল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না দাবী করে সু-বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মামলার বাদীনি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাদীনির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিরাজ উদ্দিন। এ সময় মামলার স্বাক্ষী সৈয়দুর রহমান, আবরুছ মিয়া, নিহত মঞ্জিলের স্ত্রী ঝর্না বেগম, পুত্র অলিউর রহমান, আতিকুর রহমান, ছাদিকুর রহমান, বাদীনি রিনা বেগম, স্থানীয় আয়না মিয়া, জিয়া উদ্দিন, আব্দুল বাছিতসহ লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, এ হত্যা মামলায় ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে নিয়মিত পুলিশি অভিযান চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn