ছাতক  ::   ছাতকে আবারো বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গ্রাম্য বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের এ সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ১৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরমহল্লা ইউডিনয়নের কালিয়ারচর গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র রইদ আলী ও মদরিছ আলীর পুত্র নুরুল হক পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে কালিয়ারচর ও পার্শ্ববর্তী চরবাড়ুকা গ্রামবাসীর মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে গ্রামবাসীর পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িত না হয়ে নিরব ভুমিকা পালন করে রইদ আলী।  এ নিয়ে নুরুল হক পক্ষের সাথে গ্রামের লোকজনের মনমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছিল।  শুক্রবার রাতে এ নিয়ে গ্রামের শফিক আহমদের সাথে নুরুল হকের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজন এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪০ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত সামছুল হক (৫০), সাজ্জাদুল হক (৪০), অজুদ মিয়া (৫৫), দিলোয়ার হোসেন (৩৫), সৈয়দুল হক (৩৫), মনির হোসেন (৫০), শফিকুল ইসলাম (৩৫), রেদওয়ান আহমদ(৪০), নিজাম উদ্দিন(৪৫), মজম্মিল আলী(৫৫), রশিদ আলী(৬০), বিলাল(১৭), রিয়াদ(১৮), জুয়েল মিয়া(২৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  আব্দুল জব্বার (৪০), নুর উদ্দিন (২২), আব্দুর রউফ (৪০), আব্দুল মতিন (৫৫), সমিরুল হক (৪০), খালেদ মিয়া (২৩), রুবেল মিয়া (২৪), ইমন আহমদ (১৮), আলিম উদ্দিন (১৬), বাদশা মিয়া (১৭), আব্দুল কদ্দুছ (৫৫), আব্দুল মতিন (৪০), তারেক আহমদ (২৫), ময়না মিয়া (৪৫), এমদাদুল হক (৩৫), আব্দুল জলিল (৩৫), রুহেল আহমদ (২৫), আব্দুস ছালাম (৫০), ফয়জলুল আলী (১৭), ফয়জুর রহমান (৫৫)সহ অন্যান্যদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।  খবর পেয়ে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শফিকুল ইসলামসহ পুলিশেল একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn