ছাতকের পল্লীতে এক কিশোরীকে উত্যক্ত করার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক লাটিচার্জের পর ৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষোপ করে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রাজাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বারিক আলীর কিশোরী কন্যা রাহিমা বেগমকে প্রায় সময় উত্যক্ত করতো একই গ্রামের হানিফ আলীর পূত্র মছব্বির আলী। এ ব্যাপারে বারিক আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তার মেয়েকে উত্যক্ত করার বিষয়ে হানিফ আলীর বাড়ীতে বিচার প্রার্থী হলে ক্ষেপে যায় তার পূত্র মছব্বির আলী। এ বিষয়ে গত বুধবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজাপুর সড়কে এরই জের ধরে দু’পক্ষ লাটি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫জন আহত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে একটি বাড়ী ভংচুর করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাটিচার্জের পাশাপাশি ৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষে আহত মানিক আলী (৩২), আনসার উদ্দিন (২৫) ও সেলিম মিয়া (২৮)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে আফরোজ আলী (২৬), জমির আলী (২০), সমর আলী (৩৮), ফুলবানু বেগম (৬৫), সামিয়ারা বেগম (২৭), মছব্বির আলী (১৮), ময়না মিয়া (২০), জামাল উদ্দিন (৪২), জসিম উদ্দিন (২৬), ফরিদ মিয়া (৪৭), আইন উদ্দিন (২৩)সহ অন্য আহতদের ছাতক সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।  কালারুকা ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলম জানান- সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn