ছাতকে বিভিন্ন প্রজাতির ১৬টি বিষধর সাপ ধরা পড়েছে। সর্পরাজ, গুনী কবিরাজ ও তান্ত্রিক ওঝা বুরহান উদ্দিন জালালী গতকাল বুধবার সকালে শহরের বহুমুখী মডেল হাইস্কুল সংলগ্ন মরহুম আলহাজ্ব আরজ মিয়া চৌধুরীর নতুন বাড়ি থেকে এসব সাপ ধরেন। কয়েক দিন আগে বাড়ির কেয়ারটেকার কিনা মিয়ার শিশু পুত্রকে বাড়ির আঙ্গিনায় সাপে কাটে। তাৎক্ষনিক ছাতক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তার। পরে শহরের চৌধুরী পাড়া-বেঁদে পল্লীর বাসিন্দা আবু তাহেরের পুত্র সর্পরাজ ও তান্ত্রিক ওঝা বুরহান উদ্দিন জালালীর কাছে সাপে কাটা শিশুকে নিয়ে যাওয়া হলে তার তান্ত্রিক ক্ষমতা বলে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলেন। সাপে কাটার সূত্র ধরেই বুধবার সকালে ওই বাড়ির আশপাশ ও ঝুপ-ঝাড় থেকে জালালীর নেতৃত্বে এক-এক করে ১৬টি বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ ধরেন ওঝার একটি দল। এ সময় সাপ ধরার কারিশমা উপভোগ করেন স্থানীয় কয়েক শ’ উৎসুক জনতা। সাপ ধরায় সহযোগিতা করেন জালালীর শিষ্য নূরে আলম, আছকির মিয়া, জুবের আহমদ, আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রতন মিয়া ও ইয়ািকুব আলী। সর্পরাজ বুরহান উদ্দিন জালালী  জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের কামরীপ কামাখ্যায় সাপ ধরার বিভিন্ন কলা-কৌশল ও তন্ত্র-মন্ত্রের উপর দীর্ঘদিন দীক্ষা গ্রহন করেছেন তিনি। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময়  ধরে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সাপ ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। সাপে কাটা রোগীর খবর পেলে তিনি সেখানে ছুটে যান ও রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্ট করেন। সাপে কাটা রোগীর তান্ত্রীক চিকিৎসা ও সাপ ধরার বিষয়টি একটি সেবামুলক কাজ বলে তিনি মনে করেন। ধৃত ১৬ টি সাপের মধ্যে গেছো আলদ, মেছো আলদ ও বিরল প্রজাতীর সূর্য্যমুখী সাপ রয়েছে বলে তিনিি জানিয়েছেন। জালালীর মতে সাপগুলো আকারে ছোট হলেও খুবই বিষাক্ত ও ভয়ংকর। সাপের উপদ্রপ পরিলক্ষিত হলে তার(০১৭১১-৩৯১৯৪৯) যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn