চান মিয়া-

সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের সন্ত্রাসী হামলায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (১৫মে’) সকাল সাড়ে ১০টায় গোবিন্দগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আলমপুর বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি শিক্ষক মাহবুবুর রশীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সামি (২৮)সহ ১০৫জন অভিবাবক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। এরপর গত ৮মে’ এখান থেকে অন্যত্র বদলী করা হডয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন আলমপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে ছাতক আসার পথে গোবিন্দঞ্জ ষ্ট্যান্ডে একটি সিএনজিতে বসা অবস্থায় তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় সভাপতিকে উদ্ধার করে ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামছুল ইসলাম অনাকাংখিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এব্যাপারে সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, অনিয়ম-দূর্নীতিসহ সময়মত স্কুলে না আসায় প্রতিবাদ করায় এবং গত ৮মে’ কৃষ্ণনগর বিদ্যালয়ে বদলী করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ, সাহাব উদ্দিন মো. সাহেল, আব্দুল মছব্বির, সাবেক চেয়ারম্যান ফজর উদ্দিন, এডভোকেট ওয়াকিব আলী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোনায়েম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল আহমদ, ঘটনার তীব্র নিন্দাও জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার বায়েজিদ খানও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আহতকে থানা প্রশাসনের মাধ্যমে আইনী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক দাবি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল এঘটনার তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আইনের উর্ধে কেউ নয়। এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক তাহমিনা বেগম জানান, একজন শিক্ষকের জন্যে এধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা নিশ্চয়ই অনাকাংখিত ও দুঃখজনক। স্কুলে মহিলা নিয়োগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মায়া-মমতা দিয়ে পড়ানোর জন্যে। এসরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে শিক্ষকদের বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মমতার গন্ডিতে রেখে পাঠদান শেখানো হয়। কিন্তু ঘটনাই প্রমান করে এ শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষার্থীরা কোন জ্ঞান পায়নি, সবসময় শুধু ভৎর্সনা ও অজ্ঞতাই পেয়েছে। সে পড়ানোর নামে শিক্ষার্থীদের অমানুষ করেছে। এসময় আলমপুর স্কুলের শিক্ষক মাহবুবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এখনই তিনি সুনামগঞ্জ ডিপিইওকে বলে দিচ্ছেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn