সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টিসিবির পণ্য কম থাকার অভিযোগে উত্তেজিত ক্রেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ডিলারদের লোকজন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। ইউএনও জগন্নাথপুর নামের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে ঘোষণা দেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে টিসিবির মালামাল বিক্রি করা হবে। মালামালের মধ্যে ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি মসুরের ডাল ও ৫০০ কেজি চিনি বিক্রি করা হবে আনুমানিক ২৫০ জন ভোক্তার মধ্যে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

ঘোষণার পর ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে। এ সময় উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। মানা হয়নি সরকারি নির্দেশনা। এর আগে নির্ধারিত সময়ে টিসিবির সেল ট্রাক উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আসে। এ সময় শুধু তেল বিক্রি করতে গেলে ভোক্তারা প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবি চিনি ও ডাল বিক্রি করতে হবে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনসাধারণ ট্রাক ঘেরাও করে রাখেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে টিসিবির ডিলার ধনেশ রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা পণ্য বিক্রি করছি। আমরা বরাদ্দ পেয়েছি ১ হাজার লিটার তেল, ৫০০ কেজি ডাল ও ৫০০ কেজি চিনি। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে ৩২৪ জন ভোক্তার মধ্যে জনপ্রতি ২ লিটার করে তেল ২০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। অবশিষ্ট তেল রানীগঞ্জ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া রানীগঞ্জ বাজারে ২০০ ভোক্তার মধ্যে ৫৫ টাকা দরে ৫০০ কেজি ডাল ও চিনি বিক্রয় করা হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, উপজেলা সদরে শুধু তেল বিক্রি করা হয়েছে এবং রানীগঞ্জ বাজারে চিনি ও ডাল বিক্রয় করা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn