জগন্নাথপুর ::  জগন্নাথপুরে হু হু করে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। দ্রুত পানি বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে চলেছে মানুষের হাহাকার আর কান্না। একইসাথে বেড়ে চলেছে বন্যা বিপর্যস্ত মানুষের আতংক। রবিবার (১৪ জুলাই) বন্যা কবলিত এলাকার পানিবন্দি লোকজন বলেন, রাতে দেখলাম পানি বাড়ির উঠানের নিচে রয়েছে। সকালে দেখি পানি ঘরে উঠে গেছে। দ্রুত পানি বাড়ায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। পরিবার-পরিজন, গবাদি পশু ও গোলায় থাকা ধান নিয়ে এখন কোথায় যাবেন-এ নিয়ে পানিবন্দি লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।  জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কুশিয়ারা ও নলজুর সহ বিভিন্ন নদ-নদী ও হাওরে বেড়ে চলেছে পানি। বন্যার পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার হলদিপুর চিলাউড়া, কলকলিয়া, পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অর্ধশতাদিক গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি। বিভিন্ন হাট বাজারে ও বাড়িঘরে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে অনেক রাস্তাঘাট। বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি। বন্যার্তরা ত্রাণ সামগ্রীর জন্য হাহাকার করছেন।  বন্যার পানিতে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করছে। নদী পাড়ের হাট বাজার, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষ উচুঁ এলাকার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে আবার নিজ ঘরে বাঁশের মাচা বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসির আরাফাতের সাথে আলাপ হলে তিনি  বলেন, আজ কলকলিয়া, চিলাউড়া, হলদিপুর, বেরী ও বেতাউকা গ্রামের বন্যা কবলিত গরিব লোকদের মধ্যে শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি। পর্যাপ্ত ত্রাণ ামগ্রী প্রেরণের জন্য আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn