জগন্নাথপুরে সমাজচ্যুত দুই ব্যবসায়ী দোকানঘর খোলায় গ্রামবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে ঘন্টাব্যাপি ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান- জগন্নাথপুর পৌরশহরের কেশবপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আছকির মিয়া ও একই গ্রামের আছকির আলী পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে পূর্ব বিরোধ চলছিল।  চেয়ারম্যান আছকির আলীর পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের সাত জন কে মাসখানেক আগে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সমাজচ্যুত ঘোষণা করেন গ্রামবাসী। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল।  বুধবার (১২ জুলাই) সকালে আছকির আলীর পক্ষের তোতা মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়া এ দুই ব্যবসায়ী স্থানীয় কেশবপুর বাজারে তাদের বন্ধকৃত দোকানঘর খোলেন। এতে গ্রামবাসীবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে সব বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন।  পরে বিকাল ৩টার দিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আছকির মিয়ার সভাপতিত্বে ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজিবুল রহমানের পরিচালনায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- গ্রামের মুরব্বী বাদশা মিয়া, বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আরজাদ খান, গ্রামের যুবক আবু হেনা, আনোয়ার হোসেন আনু, আলাল হোসেন প্রমুখ।

কেশবপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আরজাদ খান জানান, অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় গ্রামবাসী তাদেরকে সমাজচ্যুত করেছেন। তাই তারা বাজারে দোকানঘর খোলায় গ্রামবাসী ও বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।   স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজিবুল রহমান জানান- শান্তিপ্রিয় কেশবপুর গ্রামে আছকির আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মদ, গাজা, জুয়া, চাদাবাজিসহ অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে প্রচেষ্টা চালায়। গ্রামবাসীকে এসব অপকর্ম বন্ধের দাবিতে সর্বদা সোচ্চার। ইতিমধ্যে সামাজিকভাবে তাদেরকে গ্রামবাসী প্রত্যাখান করেছেন। এ সব অপকর্ম বন্ধ না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ঘরে তোলা হবে।  এব্যাপার কেশবপুর গ্রামের আছকির আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান- গ্রামের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ চলছিল। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নির্দেশে বন্ধকৃত দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলতে গেল প্রতিপক্ষের হামলার শিকারের আশংকায় আমাদের দুইজন ব্যবসায়ী বাজার থেকে চলে এসেছেন।   জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান- পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিস্পত্তির প্রচেষ্টা চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn