সারাদেশের ন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার ২৫টি মণ্ডপে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে।  আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের এ উৎসবের। আজ বুধবার সপ্তমীবিহীত পূজার দিনে বিভিন্ন মণ্ডপে রয়েছে নানা আয়োজন। জগন্নাথপুরের ২৫টি পূজামণ্ডপ হল জগন্নাথপুর পৌরসভার জগন্নাথ জিউর আখড়া কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ, দাস সম্প্রদায় সার্বজনীন পূজামণ্ডপ বাসুদেব বাড়ি, আনন্দময়ী সার্বজনীন পূজামণ্ডপ বাসুদেব বাড়ি, কলকলিয়া ইউনিয়নের কালিটেকী সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, কলকলিয়া দুর্গা বাড়ি সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজার সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, মীরপুর ইউনিয়নে বাউর কাপন সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে গোপরাপুর গোপাল জিউর আখড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, গয়াসপুর সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে রানীগঞ্জ বাজার জগন্নাথ জিউর আখড়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, হিলালপুর সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, গোপালগঞ্জ বাজার সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, রৌয়াইল সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, হরিনাকান্দি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের অনুচন্দ বুধরাইল সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, আশারকান্দি ইউনিয়নের শহীদ নগর সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, জয়দা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, পাইকপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, ছোট শেওড়া ও বড়শেওড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, পাইলগাঁও ইউনিয়নে সাধু সাধক কেতকি দেবের বাড়ি সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, আলীপুর সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ মণ্ডপ, খানপুর সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, সাধু সাধক রবি দেবের বাড়ি সার্বজনীন পূজামণ্ডপ এবং জগন্নাথপুর পৌরসভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব’র মহাজন বাড়িতে দেবু দেবের পারিবারিক পূজামণ্ডপ ও শহরের পূর্ব ভবানীপুর ভটবাড়ি পূজামণ্ডপে পারিবারিকভাবে দুর্গোৎসব।দুর্গোৎসব চলাকালে পূজামণ্ডপগুলোতে প্রতিদিনই অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, ভোগ ও আরতি সঙ্গীতানুষ্ঠান ঢপযাত্রা, নাটকসহ নানা অনুষ্ঠান হবে।এছাড়া আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত দেব জানান- হাওরের ফসলডুবিসহ নানা কারণে এবার গত বছরের চেয়ে দু’টি পূজা এ উপজেলায় কমেছে। এবার উপজেলার ২৩টি সর্বজনীন ও দুটি ব্যক্তিগত পুজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার মণ্ডপগুলোতে ব্যায় সংকোচন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অর্থ সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সভাপতি হীরা মোহন দে ও সেক্রেটারি সুজিত রায় জানান- পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আমরা ধর্ম যার যার উৎসব সবার এ স্লোগানে ৫ দিনব্যাপী পূজার উৎসবাদি পালন করতে চাই। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন রশিদ চৌধুরী জানান- প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশ, আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর।

সিলেটের সম্ভাবনাময় খাতসমূহের বিকাশের লক্ষ্যে সিলেট চেম্বারে তথ্য প্রেরণের আহবানদি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি এতদাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন, শিল্প ও পর্যটন খাতের বিকাশ এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।সম্প্রতি সিলেট চেম্বার সিলেটের সম্ভাবনাময় খাতসমূহ যেমন আইটি, ট্যুরিজম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, সিরামিক, আগর-আতর শিল্প, স্টোন ও ব্রিক্স, মৎস্য ও পশুপালন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, বেত শিল্প, কৃষিজাত শিল্প ইত্যাদি খাতের বিকাশের লক্ষ্যে এসব খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  উক্ত গবেষণাপত্র তৈরির জন্য এসব খাতের সাথে জড়িত উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের নিকট হতে প্রস্তাবনা/সুপারিশ ইত্যাদি আহবান করা যাচ্ছে। এসব খাতের সাথে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রস্তাবনা/সুপারিশ গবেষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সমস্যাবলী নিরসনের লক্ষ্যে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালানো হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn