আওয়ামী লীগের জেলা কমিটিতে যুক্ত হতে বায়োডাটা তৈরি হচ্ছে অর্ধ শতাধিক সাবেক ছাত্রনেতার। গত চার দশক ধরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন কিংবা প্রগতিশীল অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এরা। অবশ্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ইমন সমর্থক অংশের এক সাবেক ছাত্রনেতা জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ইমনের তালিকায় উপজেলা থেকে যুক্ত করা যায় এমন সম্ভাব্যদের নাম দেবেন সংসদ সদস্যগণ, জেলা শহরের রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, আছেন, তাদের তালিকা করবেন ব্যারিস্টার ইমন। অন্যদিকে, মতিউর রহমান সমর্থক অংশের উপজেলা ও জেলা শহরে কর্মরতদের তালিকা দেখছেন মতিউর রহমান নিজেই।
গত চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি বা প্রগতিশীল অন্য কোন ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন রাজনীতিকদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আছেন তাঁদের মধ্যে জেলা কমিটিতে যুক্ত করা যায় এমন সম্ভাব্যদের নামের তালিকা জেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে। কারো কারো বায়োডাটাও সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের কাছে এই বায়োডাটা পৃথক পৃথকভাবে শীঘ্রই তুলে দেবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন।
মতিউর রহমান সমর্থক অংশের সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, আবুল কালাম চৌধুরী, শামীম চৌধুরী, অ্যাড. আব্দুল করিম, আবু সুফিয়ান, অ্যাড, আখতারুজ্জামান সেলিম, শংকর দাস, জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, আলমগীর কবীর, ফখরুল ইসলাম, আজাহারুল ইসলাম শিপার, সবুজ কান্তি দাস, আসাদুজ্জামান সেন্টু, সিতেশ তালুকদার মঞ্জু, বাপ্পি রায়, অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন, অ্যাড. কল্লোল চৌধুরী, বীরেন্দ্র সুত্রধর, মিজানুর রহমান প্রমুখ সাবেক ছাত্রনেতাদের নাম তালিকায় রয়েছে
বলে জানা গেছে। এই অংশের জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাদেরও নামের তালিকা ও বায়োডাটা তৈরি হচ্ছে।
ব্যারিস্টার ইমনের পক্ষের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এই পক্ষের তালিকায় থাকা সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন- অ্যাড. নান্টু রায়, হায়দার চৌধুরী লিটন, আমীর হোসেন রেজা, সুবীর তালুকদার বাপ্টু, করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন, অ্যাড. শামছুল আবেদীন, দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, সিরাজুর রহমান সিরাজ, মারূফ চৌধুরী, আবুল মহসিন মাহবুব, জুনেদ আহমদ, মফিজুল হক, ইয়াকুব বখ্ত বহলুল, অ্যাড. আখতারুজ্জামান সেলিম, ইশতিয়াক শামীম, শাহ আবু নাছের, ঝুটন পুরকায়স্থ, এটিএম ফজলুর রহমান, মনজারুল হাসান, অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, শাহরিয়ার বিপ্লব, অ্যাড. শামীমা শাহ্রিয়ার, অ্যাড. রীতা বেগম, নিগার সুলতানা কেয়া, ফৌজিআরা বেগম শাম্মি, আহমেদুজ্জামান হাসান, অ্যাড. মনিষ কান্তি দে মিন্টু, অমল কান্তি চৌধুরী হাবুল, অ্যাড. নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, অ্যাড. হাসান মাহবুব সাদী, অ্যাড. নাসিরুল হক আফিন্দি, আতিকুল ইসলাম, অ্যাড. আবুল আজাদ রুমান, অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম, শাহ্রিয়ার কবির সায়েম প্রমুখ। এই অংশেরও সাবেক দায়িত্বশীল জ্যেষ্ঠ নেতাদের বায়োডাটা তৈরি করা হচ্ছে কেন্দ্রে জমা দেবার জন্য।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল বলেন,‘জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি এক যুগ আগে। আমাদের পরে যারা অন্য অন্য ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছে, তারা নিজ নিজ মূল দলে সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে সম্পাদক ম-লির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। রাজপথের মিছিল-সমাবেশে একদিনও নিস্ক্রিয় ছিলাম না। এবার ২০ বছর পরে হওয়া জেলা কমিটিতে ঠাই না হলে হতাশ হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকবে না।’
তালিকা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন,‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যাদের ত্যাগ রয়েছে, ৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা নির্যাতন সহ্য করেছেন, নৌকার উপর যাদের ভরসা রয়েছে, অতীতে যারা নিজের কর্মকা- দিয়ে দলকে শক্তিশালী করেছেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে যারা ভূমিকা রাখতে পারবেন, তাঁদেরকে কমিটিতে যুক্ত রাখার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ জানাবো আমরা।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন,‘৮০ বা ৯০’এর দশকে যারা আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তারা সকলেই দলের বা অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন এবং নতুন কমিটিতেও থাকবেন।-সহযোগী দৈনিক এর সৌজন্যেে ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn