হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন’র টুইটার ঘেঁটে জানা যায়। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ‘হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন’র কর্মকর্তা জয় ক্যানসারার প্রিয়া সাহাকে সে সুযোগ করে দেন।ক্যান্সারার আমন্ত্রণেই প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কে এই জয় ক্যানসারা? হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের পরিচালক পদ মর্যাদার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের কাজটি করে থাকেন।স্বেচ্ছাসেবী ওই প্রতিষ্ঠানে ক্যানসারা খুবই সক্রিয়। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে।জয় ক্যানসারার সঙ্গে প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত না সাংগঠনিক যোগাযোগ এ সম্মন্ধে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

‘হোয়াইট হাউজে প্রবেশের জন্য প্রিয়া সাহা মিথ্যার ও চতুরতার যে আশ্র‍য় নেন তাও স্পষ্ট। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক। সংগঠনের আরও অন্তত ১০ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। তিনি কোনকালেই ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না। কিন্তু তিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেছেন। ফ্রিডম হাউজ নামক একটি ওয়েব সাইটে হোয়াইট হাউজের বরাতে ওই দিনে বিভিন্ন দেশের যে ২৭ জন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুনানিতে বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিচয় প্রকাশ করে। প্রিয়া সাহা তার পরিচয়ে বলেন,

“Priya Biswas Saha, a Hindu from Bangladesh who serves as General Secretary of Bangladesh Hindu-Buddhist-Christian Unity Council”

প্রিয়া সাহা ডাহা মিথ্যা বলেছেন। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের তিনি সাধারন সম্পাদক নন। মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। মিথ্যা পরিচয়ে বিশেষ সুবিধা আদায় করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ধোকাবাজী করেছেন।অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। প্রতারণার জন্য আমেরিকার কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। আমেরিকাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের যে কেঊ এ মামলা করতে পারেন।