তাহিরপুরের দুই চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার
তাহিরপুরের ১০ জন বিশিষ্ট আমদানীকারককে গত কয়েকদিন ধরে মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছিল একটি চাঁদাবাজ চক্র। মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিয়ে টাকা না দিলে হুমকি-ধামকিও দিচ্ছিল এরা। ব্যবসায়ীরা কয়েকদিন এমন যন্ত্রণা সহ্য করে গত সপ্তাহে তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর থানায় এ ব্যাপারে আলাদা আলাদা জিডি করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার বিকালে তাহিরপুর সীমান্তের জঙ্গলবাড়ীর আব্দুস সাত্তারের ছেলে আতিক হোসেন এবং নজরুল ইসলামের ছেলে ফারুক মিয়াকে আটক করেছে। হুমকির শিকার ব্যবসায়ীরা হলেন- আব্দুস সামাদ মুন্সি, হাবি সর্দার, সুজন সর্দার, মতি সর্দার, হায়দার সর্দার, কাজল সর্দার, মুসলিম সর্দার, কাইয়ুম সর্দার, সবুজ সর্দার ও সিরাজ সর্দার।
গত ২ জুন ০১৭৯৩২৪৬১৬৯ নম্বর থেকে পাঠানো প্রথম ম্যাসেজে চাঁদাবাজরা লিখে,‘আপনারা ১০ জন মিলে আমাদের ৫ লক্ষা টাকা দেবেন। জনে ৫০ হাজার করে দিতে হবে। ৫ মাস পরে সমিতি করে আপনাদের টাকা ফেরৎ দেব। যদি আল্লাহ্ আমাদেরকে সৃষ্টি করে থাকেন, আর যদি চাঁদা না দেন তাহলে আমরা যা যা করবো তাহলো, কিডন্যাপ, বাড়ীতে টিকলি ফুটানো, যার কাছ থেকে টাকা ধার এনেছিলাম তাকে হত্যা করবো এবং এর দায় আপনাদের ১০ জনের উপর বর্তানোর চেষ্টা করা হবে। ১০ জনকে গুলি করার জন্য ১০ টি গুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভালোয় ভালোয় কোন দিন টাকা দেবেন বলেন, টাকা দিলে আমরাও ভবিষ্যতে আপনাদের অনেক সাহায্য করতে পারি। ঠা-া মাথায় কাজ করবো। যদি হেলা করেন তাহলে বিপদে পড়বেন।’ এভাবে একের পর এক হুমকির ম্যাসেজ ১০ জুন পর্যন্ত এই ১০ ব্যবসায়ীকে দিচ্ছিল চাঁদাবাজ চক্র।
বিশিষ্ট আমদানীকারক আব্দুস সামাদ বলেন,‘কেবল ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিয়ে হুমকি নয়, এরা সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকবার একই মুঠোফোন থেকে ফোন দিয়ে কোন কথা না বলে আবার কেটে দিতো।’ তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন,‘মঙ্গলবার রাতে আতিক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় আতিক কয়েকজনের নাম বলে দেয় এবং তারা একটি গ্রুপ রয়েছে বলে জানায়।’ তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এই গ্রুপ এভাবেই ইতিপূর্বে চাঁদাবাজী করেছে এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ম্যাসেজ দিচ্ছে চাঁদা চেয়ে।’