তাহিরপুরে গুলিভর্তি বন্দুকসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।   সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মদ খেয়ে নিজ বাসায় মাতলামী করার সময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  গ্রেফতারকৃতর নাম হাজি ফেরদৌস আলম (৪২)। সে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের মৃত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জাহেরের ছেলে এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সবুজ আলমের বড় ভাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ফেরদৌস আলমকে বাদাঘাট বাজার সংলগ্ন নিজ বাসায় মাদক সেবনে পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে সে নিজের লাইসেন্সকৃত একনালা বন্দুক দিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৯টা দিকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুরো এলাকা আতংকিত করে ফেলে। তার বেপরোয়া আচরণে ও গুলির বিকট শব্দে আতংকিত হয়ে প্রতিবেশীরা তাৎক্ষণিক বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি অবহিত করে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে ফেরদৌস আলমকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় তার হেফাজতে থাকা ইংল্যান্ডের তৈরী এক নালা একটি বন্দুক, ব্যবহ্নত গুলির খোসাসহ আরও ৯টি গুলি জব্দ করে। প্রতিবেশীরা জানায়, প্রতিনিয়ত বাসায় মাদক সেবন করে বাসায় থাকা লোকজনের সঙ্গে অসদাচরণ করে সে। মাদক সেবনে বাঁধা দিলেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে আতংক সৃষ্টি করতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এই নিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা অতিষ্ট হয়ে পরে।

তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিজের লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে অহেতুক জনমনে আতংক সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে পুলিশ ফেরদৌস আলমকে গ্রেফতার করেছে। সে অস্ত্র আইনের ১২ধারা লঘ্নন করায় মঙ্গলবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে তাকে সুনামগঞ্জ কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn