তাহিরপুর উপজেলার ৩নং বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আজহার আলী বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ’ টাকা বিতরণে ১শ’ করে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের সময় উৎকোচ নেয়ার পর স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়ে উৎকোচের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আজহার আলী।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের সময় তিন শতাধিক নারী পুরুষের কাছ থেকে ইউনিয়ন ট্যাক্স নাম করে ১শ’ টাকা উৎকোচ নেন। দক্ষিণ বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আজহার আলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স হিসেবে টাকা নেয়া হয়েছিল। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পরামর্শে  সবাইকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান, বিষয়টি শুনে চেয়ারম্যানকে বলেছি টাকা ফেরত দেয়ার জন্য। তিনি বলেন সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে কেউ যেন উপজেলার দুর্গত কোনো কৃষকের কাছ থেকে টাকা-পয়সা না নেন।
এদিকে দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ভিজিএফ-এর ৩০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে কালো বাজারে বিক্রি করে ফেরত দিয়েছেন। গতকাল আত্মসাৎকৃত এই চাল ফেরত দেন। শনিবার চাল আত্মসাতের খবর পেয়ে তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা কৃষি উপসহকারী রনধীর ভুষণ চৌধুরী সরজমিন উপস্থিত হয়ে এর সত্যতা পান। ট্যাগ অফিসার রনধীর ভুষণ চৌধুরী চাল আত্মসাতের সত্যতা পেলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের বাঁচাতে কালো বাজারে বিক্রীত চাল ফেরতের পরামর্শ দেন।  নিজেকে বাঁচাতে অবশেষে চেয়ারম্যান কালো বাজারে বিক্রীত চাল ফেরত দেন। গতকাল এ চাল বিতরণ করা হয়।
চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস আত্মসাৎ নয় গুদাম থেকে চাল নেয়ার সময় নৌকায় লোড না মানার কারণে দিরাই বাজারের ব্যবসায়ী বাদলের দোকানে ৩০ বস্তা চাল রেখে যাওয়ার কথা বললেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ী বাদল মিয়া জানান, চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। আমার দোকানে চেয়ারম্যান বা কেউ কোনো চাল রাখেনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn