তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন বন্ধ। ফলে চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিন পার করছেন তারা। মে মাসের বেতন জুন মাসের প্রথম সাপ্তাহেই পাবার কথা থাকলেও আজ ১৮দিন (১৮জুন) পার হলেও সংশ্লিষ্ট উধর্বতন কর্মকর্তারা এর কোন সুরাহা করতে পারছেন না। কবে বেতন পাবেন তাও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। ফলে বাজারের বাকী দোকানের টাকা পরিশোধ,নিত্য প্রয়োজনীয় চাল,ডাল,তেল সহ সার্র্বিক কাজ কর্ম সমাধান করতে দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে ঋন করে এখন দিন পাড় করছে। বেতন ও সামনে ঈদের বোনাচ চলতি মাসে আধও পাবে কি না এ নিয়ে হতাশায় ভোগছে সবাই। আর না পেলে এবার ঈদও আনন্দের সাথে উৎযাপন করতে পারবে না ঐ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

জানাযায়,সরকারী অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের সবাই বেতন পেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও সম্প্রতি অন্যত্র বদলী হবার পর এখনোও নতুন কোন কর্মকর্তা যোগদান না করায় প্রশাসনিক জটিলতায় কারনে আটকে আছে সকল কার্যক্রম। মে মাসের বেতন ও সামনে ঈদুল ফিতরের বোনাচ না পাওয়ায় নিজের ও সন্তানদের নতুন কাপড়,বাজার বাকী সহ বিভিন্ন কাজ কর্ম ধমকে রয়েছে। কবে নতুন কর্মকর্তা যোগদান করবেন আর কবে বেতনের সাথে ঈদুল ফিতরের বোনাচ পাবেন এনিয়ে দুশচিন্তার রয়েছে কর্মরত সবাই। সম্প্রতি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইকবাল হোসেন কে ভারপ্রাপ্ত টিএইচও দায়িত্ব নিলেও পূনাঙ্গ ভাবে দায়িত্ব বুজিয়ে দেওয়া হয় নি। যার জন্য তার স্বাক্ষরে অন্যান্য কাজ হলেও বেতন উত্তোলন ক্ষেত্রে কাজ হচ্ছে না। বেতন উত্তোলন করতে হলে ঢাকা প্রধান কার্য্যালয় থেকে অনুমোদন করে আনতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন জানান,এই ভাবে একটি সরকারী হাসপাতালের কর্মরতদের বেতন এতদিন ধরে বন্ধ থাকতে পারে না। আমরা সবাই এই বেতনের উপর নির্ভরশীল। একটানা ১৮দিন ধরে বেতন বন্ধ সামনে ঈদ চলে এসেছে। ঈদের বোনাচও পাব কিনা জানি না। ছেলে মেয়েদের নতুন কাপড় সহ সব কাজ একবারেই বন্ধ। এখন এ বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আশুতুষ দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এই বিয়ষটি খুব দ্রুত সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি ঢাকায় যোগাযোগ করেছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn