তোফায়েল আহমেদ- ভোলাবাসীর দুঃসময়ের কাণ্ডারি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। যেকোনো দুর্যোগ-সংকটে এলাকার মানুষের পাশে ছায়া হয়ে থাকেন ভোলা সদর আসনের এই সংসদ সদস্য। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আছেন মানুষের পাশে। অসহায় ও দুস্থরা যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেজন্য দফায় দফায় বিতরণ করছেন খাদ্যসামগ্রী। করোনা রোগী শনাক্তে নমুনা সংগ্রহের জন্য নিজের অর্থায়নে গড়ে দিয়েছেন তিনটি সেফটি বুথ। সবমিলে ভোলাবাসীর কাছে তোফায়েল আহমেদ অনন্য এক নাম। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে দিনরাত মানুষের খোঁজ রাখছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের অন্যতম এই সদস্য। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রীর সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিত নজরদারি করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাকর্মীরাও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন প্রাজ্ঞ এই রাজনীতিকের কাছ থেকে। চলমান পরিস্থিতিতে দলমত না দেখে সাধ্যমতো সবার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ এই সহচর।

শুধু ত্রাণ বিতরণই নয়, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের শনাক্ত করতে নিজ অর্থায়নে ভোলা সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসপাতাল চত্বরে নমুনা সংগ্রহে তিনটি সেফটি বুথ স্থাপন করেছেন তোফায়েল আহমেদ। শনিবার এই বুথ তিনটির কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করোনামুক্ত রাখতে বেশি বেশি পরীক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি। ভোলার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভোলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল বা ঢাকা যেতে হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় ওই নমুনা নিয়ে নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই এখানে জরুরি ভিত্তিতে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাবনা রয়েছে। যার কাজ শিগগিরই শুরু হবে। ওই ল্যাব স্থাপিত হলে এখানে নমুনা সংগ্রহ করে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষাও করা যাবে।’

স্থানীয় পর্যায়ে তিন দফায় ৩৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। প্রথম দুই দফায় ২০ হাজার মানুষের মাঝে তার পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল-চাল, আলু তেল, আটা, লবণ, চিনি ও মশুরডাল। পরে তৃতীয় দফায় আরও ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ইফতার ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি। চতুর্থ দফায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে ঈদ উপহার দিচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে-পোলাওয়ের চাল, সেমাই, চিনিসহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

করোনার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ দূর হওয়ার আগ পর্যন্ত অসহায়দের জন্য এসব ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও ভোলায় তোফায়েল আহমেদের ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিতরা জানিয়েছেন। এই দুঃসময়ে সংসদ সদস্যের দেওয়া ত্রাণ উপহার পেয়ে খুশি অসহায় মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদ আমাগো ভোলাবাসীর নয়নের আলো। তিনি না থাকলে আমরা এই দুর্যোগের দিনে অন্ধকার দেখতাম। মানুষটার মন আকাশের মতো উদার। তিনি যদি না থাকতেন তাহলে হইতো এই দুর্দিনে না খাইয়া থাকতে হাইতো।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn