দক্ষিণ সুনামগঞ্জ  :: দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় একটি রাস্তার কাজের টাকা আত্মসাত ও অনিয়মের তদন্তে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।  উপজেলার নোয়াখালী গ্রামের মদনপুর দিরাই রাস্থার জয়কুমার দাসের বাড়ি হতে ডাক্তার রমেশ বাবুর বাড়ি হয়ে সুরমা নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রাস্তা পরিদর্শন করেছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সফি উল্লাহ। রাস্তার মাটি ভরাটের কাজে অনিয়মের বিষয়ে গত ২২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে নোয়াখালী গ্রামের মহেশ্বর রায়ের ছেলে মনুজ রায়সহ ৫০ জন বাদি হয়ে সিলেট বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর জয়কলস ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার চুনু রঞ্জন (বট)এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় নোয়াখালী গ্রামের মদনপুর দিরাই রাস্থা হতে ডাক্তার রমেশ বাবুর বাড়ি হয়ে সুরমা নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্থাটি মাটি ভরাটের জন্য ২০১৬ সালের কর্মসৃজনে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়ে মাটি ৯০% ভরাট না করেও কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে জাল স্বাক্ষরে করে টাকা আত্মসাৎ করেন ইউপি সদস্য চুনু রঞ্জন (বট)।

এ বিষয়ে নোয়াখালী গ্রামের তফজ্জুল হোসেন, নূর আলী, শের আলী ও ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান বলেন, ৪ বছর আগে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ আসলে ইউপি সদস্য বট সঠিকভাবেই কাজ করেছেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হয়নি। একই গ্রামের নিবিল দাস, মজু দাস ও জনি দাস বলেন, মাটি ভরাটের কাজ নামমাত্র করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সঠিকভাবে রাস্তার কাজ না হওয়ায় আমরা নিজ উদ্যোগে কিছু জায়গায় মাটি ভরাট করেছি।ইউপি সদস্য চুনু রঞ্জন (বট) বলেন, আমি বিগত ২০১৬ সালে বরাদ্দ পেয়ে রাস্তার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা সঠিভাবে তদারকি করেই আমাকে বিল প্রদান করেছেন। এখন ৪ বছর পর আমার নামে অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সফি উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করেছি। রিপোর্ট যথাসময়ে দেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn