দিরাই ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সন্দীপন দাসের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে কলেজ পরিচালনা কমিটি কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১১ জুন) সকাল ১০টায় পূর্ব ঘোষিত ছাত্র ধর্মঘটের অংশ হিসেবে কলেজের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলক রায় প্রত্যাহারের দাবিতে দুপুর ১২টায় দিরাই থানা পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কলেজ শিক্ষার্থী সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে এবং আল-মামুনের পরিচালনায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আখলাকুর রহমান, শুভ, আফজাল, আশরাফ উদ্দিন, রায়হান, ইমন, মামুন, তানবির, পারভিন সুলতানা, ইমা আক্তার, তন্বী বেগম, ওমর ফারুক, ফরহাদ মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনকালে শিক্ষার্থীরা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সন্দীপন দাসের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে কলেজ পরিচালনা কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে  বলেন, কলেজের এক বিতর্কিত ছাত্রের সাজানো ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনায় জড়িত না থাকার প্রমান পাওয়ার পরও পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্যের উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সন্দীপন স্যারকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক রায় প্রদান করে। অবিলম্বে এ রায় প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

জানা যায় গত ১৩ মে দিরাই ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারি ভানু দাস ও পিয়ন স্বজন দাস কলেজে বসে মদপান করেন এবং শিক্ষক সন্দীপন দাসকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালান। এরপর একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের ইন্ধনে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব রায়সহ কয়েকজন ছাত্র কলেজ পরিচালনা কমিটির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৮ মে কলেজ  কমিটির সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কলেজ পরিচালনা কমিটি ৭ জুন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করে। রায়ে ইংরেজি শিক্ষক সন্দীপন দাসকে কলেজের সকল কমিটি থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি ও এক বছরের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn